আর্কাইভ থেকে বিনোদন

রাজ্যকে লেখা খোলা চিঠিতে যা বললেন পরীমণি

ছেলে রাজ্যর প্রথম জন্মদিনে আবেগঘন চিঠি লিখেছেন পরীমণি। মা-সন্তানের স্মরণীয় মুহূর্তের কয়েকটি স্থিরচিত্র আর ছোট ভিডিও সন্নিবেশে নির্মিত অডিও-ভিজ্যুয়ালে সেই চিঠির কথা প্রকাশ করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। যদিও বৃহস্পতিবার ১০ আগস্ট ছেলের জমকালো জন্মদিন পালন করেন এই চিত্রনায়িকা। এ দিন রাতেই এটি প্রকাশ করেন তিনি।

মায়াভরা কণ্ঠে অকৃত্রিম দরদ নিয়ে পরীমণি বলেন, ‘আমার বাজান, বড় হয়ে যখন তুমি এটা দেখবে, তখন বুঝবে, গলায় আটকে থাকা কান্না গিলে গিলে মা তোমাকে বলেছিল— এই সেই আনন্দের দিন, যেদিন তুমি আমার বুকে এলে। ছোট্ট দুটো হাত ধরে কী মনে হচ্ছিল জানো? পরী সত্যিকারের দুটো ডানা পেলো। কী আনন্দ কী আনন্দ! বড় হয়ে লাল পরী, নীল পরী, হাজার পরীর ভিড়ে শুধু জানবে, তুমি এই মা পরীর দুটো ডানা হয়ে জন্মেছিলে। আমি তোমার বুকে কান পেতে শুনি- মা; গায়ে গা ঘেঁষে, বুকে মিশে থেকে, ঘুমের ঘোরে কিংবা জেগে থেকে, তোমার চোখের দৃষ্টিজুড়ে যেন শুধু আমি; মা আর মা। তোমার জগতজুড়ে যেন একটাই শব্দ- মা। আর এই মা-টা আমি! আহা!’

আবেগ আর কল্পনা সাজিয়ে তিনি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন এভাবে, ‘ভাবতে ভাবতে কখন যে আমাদের এক বছর হয়ে গেলো। তোমার গায়ের ঘ্রাণে বেঁচে আছি আমি। তোমার কান্নায়, হাসিতে, খেলায় কী দারুণ বেঁচে আছি আমি। দুঃখ আমাকে আর ছুঁতেই পারে না। তোমার সঙ্গে রূপকথার রাজ্যের পৃথিবী আমার। টগবগ করে রাঙা ঘোড়ায় চড়ে আমার পালকির পাশে পাশে চলবে। পথে পথে যত দস্যুই আসুক, তুমি বলবে, আমি আছি, ভয় নেই মা। আমার সত্যিকারের বীরপুরুষ হবে তুমি। আমার সকল শূন্যতার পাশে তুমি এক হয়ে জুড়ে গেছো। তাইতো আমাদের এই সংখ্যা ১০। মনে রেখো, এই তারিখটা কিন্তু তোমার। এই দিনটা তোমার বিশেষ দিন। এই আজ যেমন আমি, আমরা সবাই মিলে ধুমধাম করে তোমার জন্মদিনটা উদযাপন করছি, তুমিও কিন্তু করো। মা যখন থাকবে না বেঁচে, তখনও করবে। ঠিক আছে?’

এ সময় শরিফুর রাজকে নিয়ে পরী বলেন, ‘শত পুণ্যে আমি তোমায় (রাজ্য) পেয়েছি। এই দেখো আমরা তোমার প্রথম মাসের ১০ তারিখটা (এক মাস পূর্তির ছবি সংযুক্ত করে) সেলিব্রেট করছি। কত ছোট্ট তুমি! শুধু একটু কান্না করতে পারো তখন। এরপর দুই মাস, তিন মাস, চার, পাঁচ, ছয়, দেখো কেমন মাস চলে যায়। কাছের মানুষও ছেড়ে চলে যায়। সম্পর্কও কেমন বদলে যায়। শুধু বদলে যায়নি তোমার এই সুন্দর বিশেষ দিনে আয়োজন করে ঘর সাজানো, কেক কাটা। এই যে তোমার মা আছে তো। আনন্দের কমতি কী করে হয়।’

রাজ্যকে পদ্ম নামে সম্বোধন করে তিনি বলেন, ‘শোনো পদ্মফুল, এই দিনে তুমি কখনও মন খারাপ করবে না। এই দিন তোমার জন্য অনেক আনন্দের দিন, খুশির দিন। ঠিক আজকের মতোই তুমি এই দিনটাকে তোমার ভালোবাসার সবাইকে নিয়ে হইহুল্লোড়ে ভরিয়ে রেখো। কেমন? আমার পুণ্য। তুমিই আমার পুণ্য। তুমি এই পৃথিবীর জন্য আলোর বাহক হও। মা তোমাকে অনেক ভালোবাসে। হ্যাপি বার্থডে বাবা।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন