ওজন কমাতে করলার রস যেভাবে খাবেন
যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য করলার রস কাজে আসবে সবচেয়ে বেশি। দেখে নিন কীভাবে খাবেন-
স্বাদে তেতো হলে কী হবে, কার্য গুণে করলার রস অতুলনীয়। চিকিৎসকেরা নিয়মিত খাবারের তালিকায় করলা বা উচ্ছে রাখার কথা বলে থাকেন। বিশেষ করে এই গরমে। করলার মধ্যে রয়েছে পলিপেপটাইড বি, ভিসিন এবং ক্যারাটিন। ক্যানসার, ডায়াবিটিস, হাঁপানির মতো রোগ নিরাময়ে করলার খুবই গুরুত্ব রয়েছে। সঙ্গে ওজন কমানো তো আছেই।
যারা ওজন কমাতে চান, এদিকে কড়া ডায়েট বা এক্সারসাইজ করতে মন চায় না, তারা রোজ সকালে এক গ্লাস করে করলার রস পান করুন। ‘বিএমসি কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অলটারনেটিভ মেডিসিন’-এর একটি রিপোর্ট দাবি করছে, করলা খুব তাড়াতাড়ি শরীরে জমে থাকা মেদ ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করলার রস ফ্যাট সেলগুলো বার্ন করে দেয়। এখানেই শেষ নয়, শরীরে নাকি নতুন করে ফ্যাট সেল তৈরি করতেও বাধা দেয়। ফলত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে, এটি খুব কাজে আসতে পারে। ডায়েট করুন আর নাই করুন, এখন থেকে সকালে করলার রস খাওয়ার অভ্যেসটা তৈরি করেই ফেলুন।
বিজ্ঞানপত্রিকা ‘কারসিনোজেনেসিস’-এর দাবি, করলার রস অগ্নাশয়ের ক্যান্সার রোধ করে। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষগুলিকে নির্মূল করে দেয়। আবার ‘পাবমেড’-এর তথ্য অনুযায়ী, স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রেও ভীষণ কার্যকরী করলার রস।
করলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। করলার জুস পান করলে হজম শক্তি বাড়ে। তাছাড়া করলায় থাকা ফাইবার পরিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে। ফলে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও এই সবজি খুব উপকারী। সঙ্গে হাঁপানি এবং ফুসফুসের যেকোনো রোগ প্রতিরোধ করে করলার জুস।
কীভাবে বানাবেন করলার রস? করলা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ছোট টুকরে করে কেটে নিন। ব্লেন্ডারে দিয়ে জ্যুস বের করে নিন। ছেঁকে খাওয়ার দরকার নেই। এবার এতে সামান্য নুন আর লেবুর রস মেশান। তেতো ভাবে কমাতে চাইলে লাউ বা অন্য সবজুর টুকরোও যোগ করে দিতে পারেন।