আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

পারিবারিক কলহের কারণে আট মাস ধরে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আলাদা থাকতেন। একপর্যায়ে পুনরায় সংসার শুরু করতে চান স্ত্রী। কিন্তু স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করলেন চিকিৎসক স্বামী। পরে থানায় গিয়ে করলেন আত্মসমর্পণ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা মণ্ডপঘাটা এলাকায়।

জানা গেছে, অভিযুক্ত চিকিৎসক অরিন্দম বালা কলকাতার ইন্সটিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমইআর) থেকে মেডিসিনের উপর ডক্টরেট (এমডি) কোর্স করছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে মণ্ডপঘাটার অরিন্দম বালার সঙ্গে বিয়ে হয় বাগদার নীলগঞ্জ এলাকার রত্নতমার। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া-ঝাটি হতে থাকে। দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় সংসারে শান্তি ফিরলেও, তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কয়েকদিন ঠিক থাকার পর আবার ঝামেলা শুরু হতো। তার জেরেই শেষ আটমাস ধরে আলাদা থাকছিলেন দুজন।

শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে অরিন্দমকে ফোন করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন রত্নতমা। সেদিন রাতেই স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন অরিন্দম। রোববার (২০ আগস্ট) সকালে বাগদা থানায় গিয়ে অরিন্দম পুলিকে জানান, স্ত্রীকে হত্যা করে এসেছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রত্নতমার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে।

এ প্রসঙ্গে অরিন্দমের ভাই অনির্বাণ বালা জানান, শনিবার (১৯ আগস্ট) বৌদি (ভাবি) বাড়িতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাতে দাদা গিয়ে ভাবিকে বাড়িতে নিয়েও আসেন। তখনও দুজনের আচরণ স্বাভাবিক ছিল। আমাদের খেতে বলে দাদা-বৌদি উপরের ঘরে চলে যান। এরপর আজ সকালে দাদা নিচে নেমে এসে আমাকে বলেন, আমি তোর ভাবিকে মেরে ফেলেছি।

এ ঘটনায় প্রতিবেশীরা বলেন, সকালে শুনলাম অরিন্দম ওর স্ত্রীকে খুন করেছেন। শুনেছি ওর স্ত্রীও হোমিওপ্যাথ ডাক্তার ছিলেন। দুজনেই বোধ হয় ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। তবে তাদের বিয়ে পারিবারিকভাবে হয়েছিল না।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে রত্নতমাকে। অভিযুক্ত চিকিৎসক অরিন্দম বালাকে গ্রেপ্তার করেছে বাগদা থানা-পুলিশ। রত্নতমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

 

সূত্র: আনন্দবাজার

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন