আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সিনহা হত্যাকাণ্ড: দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি

কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে অবসপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার রায়ে খুশি তার পরিবারের সদস্যরা। তারা দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন। আর রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, কম সাজা আসামিদের বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা। 

আজ শনিবার ( ৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উত্তরায় সিনহার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। 

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের  সাধারণ সম্পাদক, অবঃ লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল ইসলাম। 

তিনি বলেন,  সিনহা হত্যার ষড়যন্ত্রে আর কারও ইন্ধন আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ ইন্ধন দিয়ে থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার বিষয়ে আইনজীবিদের সঙ্গে তারা পরামর্শ করবেন । 

প্রসঙ্গত, গেলো ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা দায়ের করে।

ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 

পরে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।

গেলো বছর ২৭ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যা শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। পরে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আসামিদের ৩৪২ ধারায় বক্তব্য গ্রহণ।

গেলো ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় টেকনাফ থানার বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ দাশকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

এছাড়া  টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব, মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি সাতজন আসামিকে খালাস দেয়া হয়। 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন