গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী ‘কালাকানুন’ বাতিলসহ তিন দফা দাবি সাংবাদিকদের
গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব ‘কালাকানুন’বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে সামবেশ করেছে সাংবাদিকদের দুই সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এসব দাবি জানিয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করেছেন। তিনটা দাবি নিয়ে এ আন্দোলন করেছেন। প্রথম দাবি ছিল এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ এবং একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। দ্বিতীয় দাবি ছিল সাগর রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার। তৃতীয় দাবি ছিল সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিতে হবে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সাগর-রুনিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। যে সরকারের সময় হত্যা করা হয়েছিল, সেই সরকারের অনেক প্রিয়ভাজন ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অনেক মানুষ মনে করে। এ কারণে দীর্ঘ সময় এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হয়েছে, কিন্তু চার্জশিট দেওয়া হয়নি। সরকার বলেছে এ বিচার তারা করবে। সবাই এটি বিশ্বাসও করে। কিন্তু সময় থাকতে এ বিচার শেষ করতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, এখনো কালাকানুনগুলো দূর হয়নি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এখনো নিরঙ্কুশ হয়নি, নিশ্চিত হয়নি। অনেক সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি। সেগুলোর বিচারের জোর দাবি জানান তিনি।
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কার চলতেই থাকবে। এই সংস্কার শুরু হয়েছে এবং পরবর্তীতে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের হাতে সেই সংস্কার চলবে৷এখনও অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছ। সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি এবং আঞ্চলিক ও পরাশক্তিগুলোর মধ্যেও আমাদের এই সাফল্য নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র আছে৷ এগুলোর ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। এগুলো সম্মিলিতভাবে, ঐক্যবদ্ধভাবে, সচেতনতার সঙ্গে, পরিপক্কতার সঙ্গে, ধৈর্য্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম,সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
আই/এ