আর্কাইভ থেকে পরামর্শ

ওষুধ ছাড়াও অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হতে পারে যেভাবে

সারা দিন প্রচুর পরিশ্রম করার পর বিছানায় পিঠ ঠেকানো মাত্রই যে দু’চোখের পাতা বুজে আসবে, এমনটা না-ও হতে পারে। ব্যক্তিগত জীবন, পেশা, ভবিষ্যৎ— নানা বিষয়ে চিন্তা লেগেই থাকে। ঘুমোতে গেলেই সেই সব চিন্তা উড়ে এসে মাথার মধ্যে জুড়ে বসে। কিছুতেই মন শান্ত হতে চায় না। মনকে বোঝাতে পারেন না যে, ঘুমের সময়টুকু কোনও ভাবেই নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। অথচ এই করে দিনের পর দিন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শরীর। মন, মেজাজও বিগড়ে যাচ্ছে। অবসাদ, উদ্বেগের মতো সমস্যা রয়েছে যাদের, তাদের ক্ষেত্রে অনিদ্রা আরও ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতেই পারে। এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেশির ভাগ চিকিসৎকই হালকা ডোজের সেডেটিভ বা ঘুমের ওষুধ দিয়ে থাকেন। তবে ওষুধের যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তা কারও অজানা নয়। তাই ওষুধের পরিমাণ কমিয়ে যদি কিছু ভেষজ চা ঘুমের ব্যবস্থা করে দিতে পারে, তবে মন্দ হয় না। ক্যামোমাইল চা অনিদ্রাজনিত সমস্যায় প্রাচীন কাল থেকেই ক্যামোমাইল চায়ের ব্যবহার হয়ে আসছে। উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে, প্রদাহ নাশ করতে ক্যামোমাইল চায়ের জুড়ি মেলা ভার। সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে এক কাপ চায়ে চুমুক দিলেই ঘুম নেমে আসবে চোখে। চা অশ্বগন্ধা চা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অশ্বগন্ধা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ। স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করতে, মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে এই চা। ব্রাক্ষ্মী চা ‘ব্রেন টনিক’ হিসাবে ব্যবহার করা হয় ব্রাক্ষ্মী পাতার রস। ক্ষুরধার বুদ্ধি, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখার মতো এমন অনেক গুণের অধিকারী হতে পারেন নিয়মিত ব্রাক্ষ্মীর চা খেলে। পাশাপাশি, ব্রাক্ষ্মী শাকের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক সেডেটিভ। তাই অনিদ্রাজনিত সমস্যায় দারুণ কাজ দেয় এই চা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন