শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আপাতত কেউ না : চেম্বার আদালত
জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিভাগের চেম্বার আদালত। পদের উপর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারক বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ রায় দেন।
রায়ে বলা হয়, এ সময়ে জায়েদ খান ও নিপুণ কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের ফুল কোর্টে এর শুনানি হবে।
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।
এরআগে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চেম্বার আদালতে এই আবেদন করেছিলেন নিপুণ। পরবর্তীতে তা শুনানির জন্য আজ বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিন ঠিক করা হয়।
এর আগে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেন আদালত। এ আদেশের ফলে নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত যায়।
উল্লেখ্য, গেল ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নায়িকা নিপুণ অভিযোগ তোলেন, নির্বাচনে দুর্নীতি করেছেন জায়েদ। টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন তিনি। এসব অভিযোগ নিয়ে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন নিপুণ। লিখিত অভিযোগ জানান নির্বাচনের আপিল বোর্ডের কাছেও।
এরপরই আপিল বোর্ডকে বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ জন্য গেলো শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বৈঠক ডাকে আপিল বোর্ড। বৈঠকে নিপুণ অংশ নিলেও অনুপস্থিত ছিলেন জায়েদ। তার অনুপস্থিতিতেই সোহানুর রহমান সোহান শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়ম করার অভিযোগে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে অপর প্রার্থী নিপুণকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন ।