আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

স্বামী পলাতক, স্ত্রীর মরদেহ জমিতে

নরসিংদীর মাধবদীর মহিষাশুরায় মাথা থেতলে যাওয়া এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঐ ইউনিয়নের বালুসাইর গ্রামের একটি ইটভাটার পাশের জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, ওই গৃহবধুর মাদকাশক্ত স্বামী ইট ও লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী পলাতক। নিহত গৃহবধূর নাম আছিয়া বেগম (২৮)। তিনি মাধবদীর মহিষাশুরা ইউনিয়নের বালুসাইর গ্রামের ফজর আলীর স্ত্রী। ফজর আলী-আছিয়া বেগম দম্পতির রাজীব (১১), লাজিমা (৯) ও সালমান (২) নামের তিন সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, স্বামী ফজর আলী মাদকাসক্ত হওয়ায় স্ত্রী আছিয়া বেগমের সঙ্গে তার প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। মাদক ও জুয়ার টাকার জন্য প্রতিনিয়তই স্ত্রীকে মারধর করতো ফজর আলী। এর জের ধরেই গতকাল রাতের কোন এক সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে ফজর আলী উত্তেজিত হয়ে আছিয়াকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ইটভাটায় নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর আছিয়ার মাথায় রড ও ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন তিনি। এতে তার মাথা থেঁতলে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ফজর আলী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। আজ সকালে আছিয়া বেগমের মাথা থেঁতলে যাওয়া লাশ ওই ইটভাটার পাশের জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। বিষয়টি জানাজানি হলে আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে যায়। পরে মাধবদী থানা-পুলিশকে ঘটনা জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দুজ্জামান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য আছিয়া বেগমের  লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তারা জানতে পেরেছেন স্বামী ফজর আলী মাদকাসক্ত হওয়ায় মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই তার স্ত্রীকে মারধর করতেন।

পুলিশ ধারণা করছে, গতকাল রাতে উত্তেজিত অবস্থায় স্ত্রীকে হত্যার পর ফজর আলী পালিয়ে গেছেন।

মো. সৈয়দুজ্জামান  আরও জানান, এই হত্যাকাণ্ডে তার স্বামীর সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণও পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত স্বামী ফজর আলীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন