আর্কাইভ থেকে জাতীয়

আন্দোলন ও স্যাংশনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই : প্রধানমন্ত্রী

আমাদের অনেকে আছেন একটু আন্দোলন দেখলে ঘাবড়ে যায়। স্যাংশন দেখে ভয় পায়। আমাদের আন্দোলন ও স্যাংশন দেখিয়ে লাভ নেই। এই মাটি আমাদের, এসব ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের মানুষ জানে সিদ্ধান্ত নিতে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নৌকা সারা জীবন উজান ঠেলে ঠেলেই এগিয়ে গেছে। নৌকা এদেশের স্বাধীনতা দিয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নতি দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়েছে। নৌকাই স্মার্ট বাংলাদেশ দেবে।

তিনি বলেন, তারা নাকি গণতন্ত্র চোখে দেখে না। তাদের জন্মই তো অবৈধভাবে। তারা গণতন্ত্র দেখবে কীভাবে!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে বাংলাদেশ তো ছয় ঋতুর দেশ। কখনও বৃষ্টি, কখনও ঝড়, কখনও বন্যা। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমার কাজ একটাই, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। আমরা যে ওয়াদা করেছি, তা পালন করেছি। কবি সুকান্তের ভাষায় বলতে চাই, ‘আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’

তিনি বলেন, আজ যারা আন্দোলনের নামে রোজই আমাদের ক্ষমতা থেকে ফেলে দিচ্ছে, আমি তাদের বলবো- মেঘ দেখে করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে। ভয়কে জয় করে বাংলাদেশের জনগণ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। নৌকা সারাজীবন উজান ঠেলেই এগিয়েছে। উজান ঠেলেই এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশের এত উন্নয়ন কেন হয়েছে? দেশে একটা গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রয়েছে বলেই সেটা হয়েছে। অনেকে এখন গণতন্ত্র উদ্ধার করবে বলেন। তারা কী গণতন্ত্র দিয়েছে, আমরা জানি।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৭ সময়কালে দেশ ছিল অন্ধকারে। এখন আর সেটা নেই। বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, সেটা একের পর এক পূরণ করে যাচ্ছি।

এর আগে বেলা সাড়ে তিনটায় রাজধানীর কাওলায় বহুল কাঙ্ক্ষিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ফার্মগেটে নামেন সরকারপ্রধান।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন