আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পুঠিয়া থানার সাবেক ওসি সাকিলকে জেলগেটে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

রাজশাহীর পুঠিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহমেদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দূর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন । 

আজ বৃহস্পতিবার (১০ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

বর্তমানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন (ওসি) সাকিল উদ্দিন। 

আমির হোসেন জানান,  তিনি এবং আরো দুজন কর্মকর্তা দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সাকিল উদ্দিন আহমেদকে করেন।জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।তবে কিছু ক্ষেত্রে  নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।  

অভিযোগ ওঠে সাকিল আহমেদ উদ্দিন পুঠিয়া থানার ওসি থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে একটি হত্যা মামলায় ৮ জন আসামির নাম উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও ওই এজাহার পরিবর্তন করেন । ওই মামলার জন্য সাদা কাগজে বাদীর স্বাক্ষর নিয়ে সেটি দিয়েই মনগড়া এজাহার তৈরি করে সাকিল। হত্যার ঘটনা ভিন্নদিকে মোড় নেওয়ার জন্য এক কিশোরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে হুমকি ধামকি দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিতে বাধ্য করে সাকিল। 

বিচার বিভাগীয় তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওসি সাকিলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।এসব অপরাধ দুদক আইনের মধ্যে পড়ায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গত বছরের ২৪ জানুয়ারী সাকিলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. আল- আমিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।  রাজশাহীর আদালত গত ১২ ডিসেম্বর, এই মামলায় সাকিলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত  সপ্তাহে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি সাকিলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।

 তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসাইন বলেন, ‘এই মামলার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ মুখ্য বিষয় নয়। কেননা, অপরাধগুলো সব দালিলিক ব্যাপার। কাগজপত্রেই এসবের প্রমাণ মিলেছে। অন্যদিকে আসামিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়া হলে মামলায় একটা দুর্বলতা থেকে যায়। সে কারণেই জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। এতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, কিছু ক্ষেত্রে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন।’ 

তিনি আরও  বলেন, আদালত বলেছেন, জেলকোড অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করতে । যতদিন ইচ্ছা আমার, ততদিনই জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। তবে আমার আর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন মনে হচ্ছে না। মামলার প্রতিবেদন দ্রুতই কমিশনে পাঠাব। সেখানে অনুমোদন হলেই প্রতিবেদনটি অভিযোগপত্র আকারে আদালতে দেওয়া হবে।

 

এসআই/


 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন