মহাকাশ গবেষণা থেকে সরানো হলো আব্দুস সামাদকে
বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সামাদকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদে তাকে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
গেলো ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণের মাধ্যমে ইতিহাস গড়ে ভারত। রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে এবং দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে মহাকাশযানের সফল অবতরণের মাধ্যমে ইতিহাস স্থান করে নেয় ভারত।
ওই খবর আসার পরপরই আলোচনায় আসে বাংলাদেশের স্পারসো। ভারতের এ সাফল্যের পেছনে সব অবদান দেশটির মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর। ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এস সোমনাথ একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। আর বাংলাদেশের স্পারসোর চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ একজন কৃষিবিদ।
একজন কৃষিবিদ এবং প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে এমন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আব্দুস সামাদকে সংসদ সচিবালয়ে বদলি করা হলো। তবে স্পারসোর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। স্পারসোর ওয়েবসাইটেও এখন মো. আব্দুস সামাদকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মো. আব্দুস সামাদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব। তিনি ২৬ জুলাই ২০২২ সালে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো)-এ চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। স্পারসোতে যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের পঞ্চদশ ব্যাচের কর্মকর্তা। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করে তিনি কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তিনি মানবসম্পদ উন্নয়ন, নীতি নির্ধারণী ধারণা, উন্নয়ন প্রশাসন, পরিবেশ উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে চীন, মালয়েশিয়া, ভারত, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জাপান থেকে প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
মো. আব্দুস সামাদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিষয়ে স্নাতক এবং চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ৪ মে ১৯৬৭ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক ছেলে সন্তানের জনক।