আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি উড়িয়ে দিচ্ছি না: ডিএমপি কমিশনার

বইমেলায় অভিজিৎ রায়ের ওপর হামলার নায়ক আনসার আল ইসলাম প্রধান মেজর (চাকরিচ্যুত) জিয়া এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাকে গ্রেফতারে দেশে-বিদেশে পুরস্কার ঘোষিত হয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি। বললেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ।

আজ রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলা উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

বইমেলা ঘিরে অভিজিৎ রায়কে হত্যাসহ বিভিন্ন সময়ে জঙ্গিদের তৎপরতা দেখা গেছে। এবারের বইমেলা উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের হুমকি রয়েছে কি না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায়ের পর জঙ্গিদের ক্ষিপ্ত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। রায়ের পর আমরাও জঙ্গি তৎপরতা বিষয়ে, বিশেষ করে এই বইমেলা নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। তাদের নেতা চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া এখনো বাইরে। তাই আমরা নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না। আমরা সেসব বিষয় মাথায় নিয়ে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

মেলায় যারা আসবেন তাদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মাস্ক ছাড়া কেউ ঢুকবো না, তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র রাখা হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনা পরিস্থিতির কারণে জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে। শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে মোবাইল টিম থাকবে। যারা বিক্রেতা বা স্টলে বসবেন তারা করোনা টিকা দিয়েছেন মর্মে সনদ সাথে রাখতে হবে। নইলে জরিমানার ব্যবস্থা করবো। 

কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখের মতোই বই মেলা একটি উৎসব। বইমেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ডিএমপির বড় দায়িত্বের অংশ। এবার বই মেলা প্রাঙ্গণ, শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ ও নীলক্ষেত কেন্দ্রীক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। এসব এলাকায় প্রাথমিক একটি তল্লাশি দল থাকবে৷ সন্দেহজনক কিছু দেখলে তারা তল্লাশি করবে। এদিক দিয়ে বইমেলায় কোনো গাড়ি ঢুকবে না। আর মূল প্রাঙ্গণে ঢোকার মুহূর্তে বইমেলা প্রাঙ্গণের দুটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকার চারটিসহ মোট ৬টি গেট থাকবে। সেখানে আর্চওয়ে স্থাপন করা হবে। প্রত্যেককে আর্চওয়ে পেরিয়ে ঢুকতে হবে৷ মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। সন্দেহ হলে পৃথক বক্সে নিয়ে তল্লাশি করা হবে। 

মেলা প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী সদস্য মোতায়েন থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মেলায় মেডিক্যাল টিম ও ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন থাকবে। ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের ভোতরে ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ থাকবে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত মেলা প্রাঙ্গণে আসবেন ও নিরাপত্তার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী বলেন, নিম্নমানের এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বই প্রকাশ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিছু বই আছে রাতের অন্ধকারে মেলায় ঢোকে। আমি প্রস্তাব করেছি একটা গেট দিয়ে বইগুলো ঢুকবে, সেখানে আমাদের সার্ভিলেন্স টিম থাকবে। তাহলে এটা ঠেকানো সম্ভব।

 

এসআই /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন