আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

গোপনে বিয়ে করায় প্রেমিককে গলা কেটে হত্যা

নরসিংদীর পলাশে অন্য মেয়েকে গোপনে বিয়ে করায় প্রেমিককে গলাকেটে হত্যা করেছেন এক তরুণী। গেলো শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই তরুণীতে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়ে। 

গেলো রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
নিহত মীর মাইনুল হক ঘোড়াশাল দক্ষিণ চরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ফেলু মীরের ছেলে। তিনি ঘোড়াশালে টুথ ডেন্টালে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

গ্রেপ্তারকৃত ইসরাত জাহান মীম উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের ইমরান হোসেনের মেয়ে। 

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন মাইনুল। শনিবার বিকেলে ডেন্টাল চিকিৎসক শিহাবুল হক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তালা খোলার মাইনুলকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এরপরই রাতে সন্দেহভাজন মীমকে বাসা থেকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মীম পুলিশকে জানান, মীম ও মাইনুল স্থানীয় মুসা বিন হাকিম কলেজে একসঙ্গে পড়তেন। একসময় দুজনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। মীম আরেক ছেলেকে বিয়ে করলেও সংসার টেকেনি। এরপরই পুরনো প্রেমিক মাইনুলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তবে এরই মাঝে শ্রাবন্তী নামে আরেক তরুণীকে বিয়ে করেন মাইনুল। 

জিজ্ঞাসাবাদে মীম আরও জানান, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চাকরি করতেন মীম। মাইনুলের বিয়ে করার কথা জানতে পেরেই তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মাইনুলকে তার কর্মস্থলে ডেকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করেন। এরপর ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়।

ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাইদুর মীর বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ইসরাত জাহান মীমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তাসনিয়া রহমান

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন