আর্কাইভ থেকে ক্যাম্পাস

চবিতে উপাচার্যের বাসভবনসহ ৫০ টি বাস ভাঙচুর

শাটল ট্রেন থেকে পড়ে শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধরা। তছনছ করা হয়েছে উপাচার্যের বাসভবন। এ ঘটনায় আনুমানিক ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক বাসের গ্লাস নেই। পরিবহন দফতরের সামনে বেশিরভাগ বাসই ভাঙা। পড়ে আছে ইটের টুকরো। বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিবহন দফতর জানায়, ৫০ টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘হঠাৎ করেই ১০০ থেকে ১৫০ শিক্ষার্থী স্লোগান দিতে দিতে পরিবহন পুলের দিকে আসতে থাকে। তাদের প্রত্যেকের হাতে লোহার রড, পাইপ ছিল। এখানে এসেই তারা ইট মারতে শুরু করে। তারা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সেখানকার ২০টির মতো মিনিবাস এক নিমিষেই ভেঙে ফেলে।’

প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘উপাচার্যের বাসভবন ভাঙা হয়েছে। রেলের বগিতে আগুন দেয়া হয়েছে। অনেকগুলো বাস ভাঙা হয়েছে। এগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাজ হতে পারে না।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হন।

এ ঘটনায় একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে ফুঁসে ওঠেন চবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনসহ পরিবহনপুলে ভাঙচুর করে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনও বিশেষ গোষ্ঠী ইন্ধন দিয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. শিরিন আক্তার ।

ড. শিরিন আক্তার জানান, যারা এর সাথে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। ভাঙচুরের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে আলাদা তিনটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, হামলাকারীরা মুখোশধারী ছিলো। তারা যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে তা ছাত্রসুলভ ছিলো না। পুলিশের গাফিলতি ছিলো বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন