পেঁয়াজ,আলু ও ডিমের দাম নির্ধারণ করা হবে আজ: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাজারে কোনো কারণ ছাড়াই অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য রয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন ন্যায্যদাম কার্যকর করবো। এ ব্যাপারে আজই সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এবার আমরা আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে যাচ্ছি। যারা নিয়মের বাইরে আছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের মাঠে (টিঅ্যান্ডটি মাঠ) টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, নতুন করে টিসিবির কার্ড করা হচ্ছে। আমরা (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) ৫০ লাখ পরিবারের জন্য কার্ড করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কোটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাকিগুলো শিগগির মানুষ হাতে পেয়ে যাবে। কার্ডের কাজ চলছে।
দেশে সাড়ে তিন কোটি দরিদ্র মানুষ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এরমধ্যে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী দামে পণ্য দিচ্ছি। অর্থাৎ পাঁচ কোটি মানুষ এ সেবায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। একটি পরিবারে গড়ে পাঁচজন করে সদস্য থাকে। তারপরও যদি কোনো দরিদ্র মানুষ টিসিবির সেবা থেকে বাদ পড়ে থাকেন, সে বিষয় আমরা দেখবো।
মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে ভর্তুকি মূল্যে সেপ্টেম্বর মাসের পণ্য বিক্রি শুরু করে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এ মাসে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। এরমধ্যে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে চিনি। এর আগে আগস্টে চিনি পাননি ক্রেতারা।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে এবং বৃহস্পতিবার রাজধানীতে টিসিবির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এখন টিসিবি পণ্যের সঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের (খাদ্য মন্ত্রণালয়) দেয়া চাল যুক্ত হয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসের বিক্রি কার্যক্রমে সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বা রাইস ব্র্যান তেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৩০ টাকা।
অন্যদিকে,এতদিন টিসিবির বিক্রি কার্যক্রমে উপকারভোগীরা ৭০ টাকা দরে ১ কেজি চিনিও কিনতে পারতেন। কিন্তু আগস্ট মাসের সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি কার্যক্রমে চিনি বিক্রি করা হয়নি। এ মাসে সেটি আবারও যুক্ত করা হয়েছে। উপকারভোগীরা সর্বোচ্চ এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। প্রতি কেজি চিনির জন্য তাদের ৭০ টাকা গুনতে হবে। তবে এটি সব জায়গায় পাওয়া যাবে না। প্রাপ্যতা সাপেক্ষে কয়েকটি স্থানে চিনি বিক্রি করা হবে।