আর্কাইভ থেকে তথ্য-প্রযুক্তি

৩ দিন নয়, মোবাইল ডাটা ব্যবহার করতে পারবেন ৭ দিন!

মোবাইলফোনের ডাটা ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ডাটা প্যাকেজ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন ও ১৫ দিন মেয়াদের ডাটা প্যাকেজ বাতিল করা হয়েছে। তবে ব্যবহারকারীরা এখন তিন দিনের ডাটা প্যাকেজ সাত দিন ব্যবহার করতে পারবেন।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের ডাটা এবং ডাটা সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ সম্পর্কিত নতুন নির্দেশিকা-২০২৩’ সংক্রান্ত সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।

আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে তিন দিনের ডাটা প্যাকেজটিই সাতদিন মেয়াদে গ্রাহককে দিতে হবে মোবাইল অপারেটরদের। এছাড়া ৩০ দিন ও আনলিমিটেড প্যাকেজও রাখা হয়েছে।

অর্থাৎ তিন দিন মেয়াদে গ্রাহকরা যে পরিমাণ ডাটা পেতেন সেই পরিমাণ ডাটা এখন সাত দিন ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। তবে এমন সিদ্ধান্তের বিপক্ষে বড় দুই মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংক।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিটিআরসি সূত্র জানায়, গ্রাহকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ২০২২ সালে এক নির্দেশিকায় ৩, ৭, ১৫, ৩০ এবং আনলিমিটেড মেয়াদে মোবাইল অপারেটরদের জন্য সবোর্চ্চ ৯৫টি ডাটা প্যাকেজ নির্ধারণ করে দেয় বিটিআরসি। এরপর চলতি বছরের ৩০ মে প্যাকেজ ও ডাটার মূল্য সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় গ্রাহক জরিপের ফলাফল তুলে ধরে বিটিআরসি।

জরিপে অংশ নেয়া ১ হাজার ৬০০ ডাটা ব্যবহারকারীর ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ বিদ্যমান পাঁচটি মেয়াদ বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। অপরদিকে ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রাহক চান ৭, ৩০ ও আনলিমিটেড মেয়াদের প্যাকেজ। সেই অনুযায়ী ৩ ও ১৫ দিনের মেয়াদ বাতিল করা হয়।

গত ৩ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনের ডাটা প্যাকেজ নিয়ে নতুন একটি নির্দেশিকা চূড়ান্ত করে বিটিআরসি। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী ৭, ৩০ ও আনলিমিটেড মেয়াদে প্যাকেজের সংখ্যা কমে দাঁড়াবে সর্বোচ্চ ৪০টি।

তবে বড় দুই অপারেটর রবি ও বাংলালিংক এমন সিদ্ধান্তে খুশি নয়। অপারেটরদের সূত্র বলছে, দেশে গ্রাহকদের গড়ে ৬৯ দশমিক ২৩ শতাংশ তিন দিনের মেয়াদ ব্যবহার করেন। ৩ দশমিক ৮২ শতাংশের পছন্দ ১৫ দিনের মেয়াদ। তাদের দাবি, ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে গ্রাহককে একই ধরনের ৪-৫টি প্যাকেজ দেয়া হয়। ফলে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ ছিল না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন