আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কবি ও রাজনীতিবিদ কাজী রোজীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

না ফেরার দেশে চলে গেলেন বরেণ্য কবি ও রাজনীতিবিদ কাজী রোজী। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় সাবেক এই সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে সুমী সিকান্দার। করোনা আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতলে ভর্তি ছিলেন তিনি। ২১ দিন করোনার সংগে লড়াই করে অবশেষে হেরে গেলেন তিনি। 

বিশিষ্ট কবি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রোজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবিতার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তার সাহসী ভূমিকা সব সময়ে স্মরণীয় থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

রোজী শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি ছিলেন। কোভিড পজিটিভ হওয়ায় তাকে আইসোলেশন ইউনিটের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সে সময় সুমী সিকান্দার জানিয়েছিলেন, তার মায়ের মস্তিষ্ক কাজ করছিল না, কিডনিতে ইনফেকশন; মাল্টি অর্গান প্রবলেম।

কাজী রোজীর মরদেহ হাসপাতাল থেকে সেগুনবাগিচার বাসভবনে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে মিরপুরে দাফন করা হতে পারে।

কাজী রোজী ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।

গত শতাব্দির ষাটের দশকে কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন কাজী রোজী। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- ‘লড়াই’, ‘পথঘাট মানুষের নাম’, ‘আমার পিরানের কোনো মাপ নেই’ প্রভৃতি। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালের বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।

কবিতা চর্চা ছাড়াও তিনি সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। ২০০৭ সালে তথ্য অধিদফরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। পরে রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মুক্তা মাহমুদ 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন