যে দেশের নব্বই শতাংশ মানুষই ‘মোটা’
বিশ্বের সবচেয়ে ‘মোটা’ দেশ হিসেবে জগৎজোড়া খ্যাতি রয়েছে এই দেশের। দেশের জনসংখ্যার নব্বই শতাংশের রয়েছে মেদবহুল শরীর। এর পেছনে অবশ্য কারণও রয়েছে।
মোটা কাকে বলে? প্রথমেই জানতে হবে সেটি। মোটা বা রোগার হিসাব মাপার বৈজ্ঞানিক উপায় রয়েছে। এই উপায়ের নাম বিএমআই। কারও ওজনকে উচ্চতার বর্গ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় বিএমআই। ওজনের একক হবে কেজি আর উচ্চতার একক মিটার।
এই হিসাব অনুযায়ী, যাদের বিএমআই ১৮.৫ থেকে ২৪.৯-এর মধ্যে রয়েছে তাদের ওজন স্বাস্থ্যকর। এর থেকে বেশি বিএমআই হলে তাকে স্থুলদের দলে ধরা হয়। এর মধ্যে যদি এই পরিমাপ ৩০-এ পৌঁছায়, তাকে অতিরিক্ত ওজন বলে ধরা হয়।
এমন ওজনের হাত ধরে আসে নানা রকম রোগ। যেই রোগের তালিকায় থাকতে পারে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, লিভারের সমস্যা, কিডনির সমস্যা, হার্টের রোগ, কোলেস্টেরল ইত্যাদি। এছাড়াও আরও নানা সমস্যা হতে পারে যা আরও জটিল।
দেখা গেছে, বিশ্বের একটি দেশে প্রায় নব্বই শতাংশ মানুষ স্থুল চেহারার। তাদের অনেকেরই ওজন ছাড়িয়েছে একশ কেজি। তবে এত ওজন হওয়ার পিছনে অবশ্য কারণ রয়েছে।
সেই দেশে গেলো কয়েক বছর ধরে ফসফেট চাষের জন্য ক্ষতি হয়েছে অনেক। এর ফলে খাবার চাষ করার অনেকটাই কমে জায়গা গেয়েছে। এর জন্য বেশিরভাগ খাদ্যশস্য বাইরে থেকে আমদানি ককতে হয় তাদের।
এতেই আরও বাড়ছে ওজন। বাইরে থেকে আমদানি করা খাবারের মধ্যে রয়েছে বেশি পরিমাণ জাঙ্ক ফুড। শুধু তাই নয়, তৈলাক্ত ভাজাভুজি জাতীয় খাবারও থাকে সেই তালিকায়।
এই ধরনের খাবার খেয়েই বাড়ছে ওজন। পরিসংখ্যানের নিরিখে দেখা গিয়েছে, দেশের প্রতি দশ জনে নয় জনের ওজনই ১০০-এর কাছাকাছি বা তার বেশি। বাইরে থেকে আমদানি করা খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রসেসড ফুড।
এই ধরনের খাবারের মধ্যে থাকে অতি পরিমাণে খাবার সংরক্ষণের উপাদান। যা ওজন বাড়িয়ে দেয় তরতরিয়ে। আর ঠিক এই সমস্যার শিকার সেই দেশের লোকেরা। তবে দেশটি আকারে অনেকটা ছোট।
আদতে এটি একটি দ্বীপ। প্রশান্ত মহাসাগরের উপর থাকা এই দ্বীপটির নাম নাউরু। এই দ্বীপটি আদতে ম্যাক্রোনেশিয়ার অন্তর্ভুক্ত। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এই দ্বীপ। একেই বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে ‘মোটা’ দেশ।