আর্কাইভ থেকে জাতীয়

‘এক একটি সিলিন্ডার, একেকটি বোমা’

প্রোপ্রেন ও বিউটেনের সংমিশ্রণে হচ্ছে এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রেলিয়াম গ্যাস), যা মারাত্মক দাহ্য। এটাই বাজারে পাওয়া যায়। যা খুবই বিপদজনক। এক একটি সিলিন্ডার একেকটি বোমা। বলেছেন বুয়েটের অধ্যাপক মাকসুদ হেলালি।

আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ‘হোটেল-রেস্তোরায় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে এ কথা বলেন বুয়েটের অধ্যাপক মাকসুদ হেলালি।

তিনি বলেন, সিলিন্ডার আপনা আপনি ব্লাস্ট হয় না। মূলত সিলিন্ডারের তাপমাত্রা থাকা উচিত সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কোনো কারণে যদি সিলিন্ডারের তাপমাত্রা বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি হয়, তখন বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

অধ্যাপক মাকসুদ হেলালি বলেন, বাংলাদেশে যেসব চুলা তৈরি করা হয়, যেসব সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়, সেখানে আন্তর্জাতিক কোনো মানদণ্ড ব্যবহার করা হয় না। পাশাপাশি কোনো মেয়াদও মানা হয় না। সেক্ষেত্রে বাজারে যেসব এলপিজি আসছে, এদের গাঠনিক উপাদান যা ব্যবহার হচ্ছে তা আইনবহির্ভূত মন্তব্য করে তিনি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেন।

মাকসুদ হেলালি আরো বলেন, কাজেই অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, রান্নার সময় তেলে আগুন লাগে এতে হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে যদি সিলিন্ডার পাশে থাকে। আবার ভাত বা পানি উথলে পড়লে চুলা নিভে যায় কিন্তু এলপিজি গ্যাস বের হতে থাকে। তখন দেশলাই জ্বালালে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

চুলার পাশে সিলিন্ডার রেখে রান্না করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে মাকসুদ হেলালি বলেন, অথচ এ দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরেই চুলার পাশে সিলিন্ডার রেখে রান্না করা হয়।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন