চীন সাগর নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ালো আরও পাঁচ দেশ
এবার দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চলা দ্বন্দ্বে ঘি ঢাললো চীন। গত কয়েক বছর ধরেই এ সাগর নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে চীন-ফিলিপাইনের । দুই দেশের এ সম্পর্কের টানাপোড়েনে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সাগর তীরের আরো ৫ দেশ- ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, জাপান, ব্রুনেই ও ইন্দোনেশিয়া।
সম্প্রতি চীন দক্ষিণ চীন সাগরের নতুন যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে চীনের সঙ্গে এই দেশগুলোর তিক্ততা আরও বেড়েছে। কারণ মানচিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে— সার্বভৌম, এক্সক্লুসিভ এবং ইকোনমিক— তিন পর্যায়ে সাগরটির প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা নিজেদের বলে দাবি করেছে চীন।
ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড বাহিনীর মুখপাত্র জায়ে তারিয়েলা টুইটারে একাধিক ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন, সাগরের স্কারবোরোফ শোয়াল নামের এলাকার একটি অংশে বসানো হয়েছে ভাসমান ব্যারিয়ার এবং এটির কারণে ফিলিপাইনের মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার জন্য সেখানে যেতে পারছেন না।
তবে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের আমলে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় সাগরতীরের অন্যান্য দেশের তুলনায় ফিলিপাইনের প্রতি খানিকটা উদার ছিল চীন। কিন্তু গত বছর দুতার্তের উত্তরসূরি হিসেবে ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে এ দুই দেশের সম্পর্ক।
এর আগে বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের একটি প্রবাল প্রাচীরে পড়ে থাকা পুরোনো ও ভাঙাচোরা যুদ্ধজাহাজ নিয়ে আবারো নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে চীন ও ফিলিপাইন। ১৯৯০ সালের দিকে ‘বিআরপি সিয়েরা মাদ্রে’ নামক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি জাহাজ ইচ্ছেকৃতভাবে দক্ষিণ চীন সাগরের প্রবাল প্রাচীরে এনে বসিয়ে দেয় ফিলিপাইন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, কূটনৈতিকভাবে এই বিষয়ে একাধিকবার ফিলিপাইনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু চীনের সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
চীন আরো দাবি করে, ২৪ বছরে তারা শুধু এটি সরাতে ব্যর্থ হয়নি; উলটো জাহাজটিতে সংস্কারকাজ চালিয়ে একটি স্থায়ী ঘাঁটি বানানোর চেষ্টা করেছে।
চীনের এমন দাবি পর ফিলিপাইন বলেছে- তারা দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ দ্বিতীয় থোমাস শোল ছেড়ে চলে যাবে না।
এ ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপিনো কোস্টগার্ডের একটি জাহাজে জলকামান থেকে পানি ছুড়ে মারে চীনের জাহাজকে। সূত্র : রয়টার্স