সাম্বা ছেড়ে আরব নৃত্যে মেতেছেন নেইমার
পরনে সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী পোশাক থোবা, মাথায় পাগড়ি, সাম্বার বদলে মেতেছেন আরব নাচে। কখনও কি ঘুণাক্ষরেও ভেবেছেন নেইমার জুনিয়রকে দেখবেন এমন ভাবে!
সৌদি আরব প্রতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পালন করে তাদের জাতীয় দিবস। এবার দেশটির ৯৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারসহ অনেক ফুটবলারকেই দেখা গেছে সৌদির ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও নাচে।
সৌদি আরব তাদের লিগকে জনপ্রিয় করতে ফুটবলের বিশ্বের বড় বড় অনেক তারকাকে দলে ভিড়িয়েছে। মরুভূমির দেশটি শুধু তাদের ফুটবল লিগ নয়, নিজেদের ঐতিহ্য-ইতিহাসকেও তুলে ধরতে চায় বিশ্বের বুকে।
তারই অংশ হিসেবে জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে একসময় ইউরোপ মাতানো বড় বড় সব তারকাদের নিয়েই উৎসবে মেতেছে। আল হিলালে নেইমারের দুই ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ ম্যালকম ও মাইকেল অলিভেরা ছাড়াও কোচ জর্জ জেসুস ও অনান্য সতীর্থরা আনন্দ-উৎসব করছেন।
শুধু আল হিলাল নয়, আল আহলি ও আল নাসরের ফুটবলারও সৌদি জাতীয় দিবস পালন করেছেন। আল আহলির ব্রাজিলিয়ান তারকা রবারতো ফিরমিনহো ছাড়াও করিম বেনজেমা , রিয়াদ মাহরেজরা সেজেছেন সৌদি সাজে।
আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তো শুধু নাচই নয়, ‘যুদ্ধাংদেহী’ হয়ে তলোয়ার হাতে পুরো দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সঙ্গে ছিলেন সতীর্থ এলেক্স টেলেস, সাদিও মানে, তালিসকোরা।
১৯৭০ সালে শুরু হওয়া সৌদি প্রো লিগ এ বছর একের পর এক তারকা ফুটবলারদের ভিড়িয়ে বিশ্বের শিরোনামে উঠে আসে। সর্বশেষ দলবদলে সৌদি ক্লাবগুলো বিশ্বসেরা সব ফুটবলারদের টানতে খরচ করেছে প্রায় ১ বিলিয়ন ইউএস ডলার। এই দলবদলে তাদের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে কেবল ইংলিশ ক্লাবগুলো।
তবে এই হিসেব শুধুমাত্র দলবদলের জন্য ক্লাবগুলোকে যে অর্থ দিতে হয়েছে সেটার। এর বাইরে রয়েছে খেলোয়াড়দের লোভনীয় বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা।