কখনো আমেরিকা যাইনি, ভবিষ্যতেও যাবো না: বিদায়ী প্রধান বিচারপতি
আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলকভাবে অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর কার্যকর করা মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বলেছেন,আমি কখনো আমেরিকা যাইনি।ভবিষ্যতেও যাবো না। মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে আমরা (বাংলাদেশিরা) বিচলিত নই বলেও তিনি জানান।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিমকোর্টের শেষ কর্মদিবস পালন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও অনুকম্পায় নয়। স্বাধীনতার সময় যারা বিরোধিতা করেছিল তারাই এখন বিরোধিতা করছে। তাই মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে আমরা কোনোভাবেই বিচলিত নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো আমেরিকা যাইনি। ভবিষ্যতেও কখনো যাব না।
নিজের দায়িত্ব পালন সম্পর্কে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিচার বিভাগের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছি। কখনো নিজের কিংবা পরিবারের কথা ভাবিনি। মামলার জট নিরসনে সারাদেশের বিচারকদের উৎসাহিত করেছি ও নির্দেশনা দিয়েছি। বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার জন্য সারাদেশের আদালত অঙ্গনে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করেছি। মেডিয়েশনের মাধ্যমে মামলাজট কমাতে সুপ্রিম কোর্টে মেডিয়েশন সেন্টার স্থাপন করেছি।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বলেন, নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি একজন ডায়নামিক ব্যক্তিত্ব। আশাকরি তিনি বিচার বিভাগকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করবেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত ২৪ মে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সহায়তার লক্ষ্যে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেন। এরপর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে গত শুক্রবার থেকে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত’ কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে গত শুক্রবার বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার ওই বিবৃতিতে বলেন, নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকায় বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা রয়েছেন। পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত হলে ভবিষ্যতে অন্যদের ওপরও এ নীতির অধীনে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়।
এএম/