যেসব গণমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার শিকার
দেশজুড়ে বাংলাদেশে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। আর এরইমধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও বলে জানা যায়। কিন্তু কেন এই নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে তার কোনো কারণ এখনও জানা যায়নি।
গণমাধ্যমের কাজ মুক্ত মতপ্রকাশ করা। স্বাধীনভাবে সংবাদ মানুষের সামনে তুলে ধরা। এমন কাজে জড়িত প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দেয়া কি যায়? এ নিয়ে চলছে নানা প্রশ্ন। কোন অভিযোগে কিংবা কোন মতপ্রকাশের কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারে তা নিয়েও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
আগেও কয়েকটি গণমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ৩ দেশের গণমাধ্যমকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিনীরা।
২০২২ সালে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিংয়ের (আইআরআইবি) ছয় কর্মকর্তা আর সাংবাদিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।
মাহসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারকে হয়রানি এবং মৃত্যুর কারণ লুকানোর চেষ্টা করার জন্যই আসে এ নিষেধাজ্ঞা। এতে ওই ছয় কর্মকর্তার বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে ওই বছর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় ইরানের সংবাদমাধ্যম ফার্স ও তাসনিম নিউজ এজেন্সিকেও।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরও মস্কোর শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বাইডেন প্রশাসন। যার মধ্যে ছিল ক্রেমলিনভিত্তিক গণমাধ্যম চ্যানেল ওয়ান, রাশিয়া ওয়ান ও এনটিভি। এসব চ্যানেলে প্রতিবছর প্রায় ৩০ কোটি ডলারের বিজ্ঞাপন দিতো যুক্তরাষ্ট্র। পরে যা বন্ধ করে দেয়া হয়।
এছাড়াও ভুয়া সংবাদ প্রচারের অভিযোগে আরও বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।