তামিমকে দলে নিতে লিগ্যাল নোটিশ
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতির পাশাপাশি তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্ট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) এই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাসেল আল মামুন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে বিসিবি। ১৫ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি তামিম ইকবালের। বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব আল হাসান। তামিমের বদলে ওপেনিং পজিশনে সুযোগ মিলেছে আরেক তামিম-তানজিদ হাসানের।
পিঠের ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপে খেলা হয়নি তামিমের। আশা ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই মাঠে ফিরবেন। ফিরলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলের সদস্য হতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ওপেনার। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে নেমে খেলেছিলেন ৪৪ রানের ইনিংস। কিছুটা নার্ভাস থাকলেও খুব বেশি অস্বস্তি দেখা যায়নি তামিমের। যদিও ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাঁহাতি ব্যাটার নিজের অস্বস্তির কথা জানালেন।
পরে নির্বাচক ও মেডিক্যাল বিভাগকে নিজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করেছেন তামিম। বাঁহাতি ব্যাটারের বক্তব্য ছিল তাকে বিশ্বকাপ দলে রাখা হলে যেন ফিটনেসের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়। এই নিয়েই মূলত আপত্তি ছিল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। সোমবার মধ্যরাতে বিষয়টি নিয়ে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় সভা বসেছিল। সেখানে ছিলেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও। সাকিব এবং হাথুরুসিংহে কোনোভাবেই আনফিট তামিমকে নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে চাননি। শেষমেশ নির্বাচকরা বাধ্য হয়েছেন সাকিবের কথা মেনে নিয়ে দল ঘোষণা করতে।
তামিমের বিশ্বকাপ দলে না থাকা নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, ‘তামিম ইকবালের অনেক দিন ধরেই ইনজুরি শঙ্কা। আপনারাও জানেন, ও ইনজুরি নিয়ে লড়াই করছিল। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ফিটনেস ফিরে পেয়েছে। প্রথম ম্যাচ খেলার পর একটা অভিযোগ এসেছে। ওর ফিটনেসের কথা চিন্তা করে, ইনজুরির যে উদ্বেগ আছে সেটা মাথায় নিয়েই ওকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা হয়নি।’
যদিও তামিমের বাদ পড়া নিয়ে ক্রিকেটপাড়ায় নানা গুঞ্জন আছে। তার মধ্যে বিশেষভাবে যেটি আলোচিত, সেটি হচ্ছে তামিমকে নাকি টিম ম্যানেজমেন্ট শর্ত দিয়েছিল। নির্দিষ্ট কিছু ম্যাচের বাইরে তাকে খেলানো হবে না! তামিম এসব মানতে পারেননি। এই নিয়ে সাকিব ও তামিমের মধ্যে নাকি কথাকাটকাটিও হয়েছিল।