ঢাকায় আসছেন মার্কিন পর্যবেক্ষক দল
এক সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকনির্বাচনি পর্যবেক্ষক মিশন। আগামী ৭ অক্টোবর তারা দেশে আসবেন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এর প্রতিনিধি দল আসবে বলে জানা যায়।
এনডিআই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্যটি প্রকাশ করা হয়।
সেখানে বলা হয়, সফরের সময় প্রতিনিধিদলটি কয়েকটি বৈঠকে অংশ নিবেন। তারা নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রতিনিধিদলটিতে কারা থাকবেন সে তথ্যও তুলে ধরেছেন প্রতিষ্ঠানটি।
এনডিআই বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দক্ষিণ এশীয়বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থসহ ছয়জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এই প্রতিনিধি দলে থাকবেন।
দলে আরও থাকবেন, ইউএসএআইডির প্রাক্তন ডেপুটি (প্রশাসক) বনি গ্লিক, মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রাক্তন সহযোগী পরামর্শদাতা জামিল জাফর, এনডিআইর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ এবং আইআরআইর এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও।
এনডিআই জানিয়েছে, সফর শেষে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান এবং সুপারিশ সরবরাহ করবে তারা।
এদিকে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার গণমাধ্যমকে জানান ব্রায়ান শিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নপুষ্ট ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে প্রাকনির্বাচনি পর্যালোচনা সম্পাদন করবে। এনডিআইয়ের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত ঘোষিত নীতিমালার আলোকে এটি সম্পাদিত হবে।
প্রতিনিধি দলটি ৭ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে। তাদের সঙ্গে ছয়জন সহায়তাকারী কর্মকর্তা যুক্ত থাকবেন। প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন, সরকারি বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নাগরিক পর্যবেক্ষক, সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠন, নারী তরুণ সমাজ, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংগঠন এবং বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে বৈঠক করবে।
সফর শেষে প্রতিনিধিদলটি একটি বিবৃতি দেবে। এতে ইতিবাচক প্রবণতা, উদ্বেগের বিষয় এবং সুপারিশ উল্লেখ থাকবে। প্রতিনিধিদলটি আন্তর্জাতিক অংশীদার, ওয়াশিংটন ডিসিতে নীতিনির্ধারক এবং বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে সমর্থনকারীদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা করবে।
প্রতিনিধিদলের প্রাথমিক ভূমিকা হলো— নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে তথ্য জানানো। একই সঙ্গে নির্বাচনে সীমিত আকারে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কিনা তারও সুপারিশ করবে।