আর্কাইভ থেকে জাতীয়

নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিকল্প হাতে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, জানালেন ম্যাথিউ মিলার

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুন্ন ও আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন যেকেনো ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিকল্প হাতে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।নিষেধাজ্ঞা আরোপের উপযুক্ত সময় না হওয়া ওয়াশিংটন কিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিয়মিত সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

আসছে জাতীয় নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারী বাংলাদেশের নাগরিকদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের  ভিসা নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় গত ২২ সেপ্টেম্বর।  ওইদিন বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিশ্চিত করেন।  এরপরই ভিসা  নিষেধাজ্ঞার ইস্যুটি রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভিসা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ না করলেও বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে সরকার, বিরোধী দলসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার নাম দেখা যায়। অন্যদিকে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে মার্কিন দপ্তর।

বৃহস্পতিবার  স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে— এমন যে কোনো ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিকল্প কী হতে পারে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেন ম্যাথিউ মিলার।

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিকল্প হাতে রাখে যুক্তরাষ্ট্র, যতক্ষণ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের উপযুক্ত সময় না হয়, ততক্ষণ তা প্রয়োগ না করে বিকল্প কিছু প্রয়োগ করা হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এবং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উদ্বেগের প্রসঙ্গও তোলা হয়। এ সময় ‘ভিয়েনা কনভেনশন’-এর বাধ্যবাধকতা তুলে ধরেন মিলার। তার প্রত্যাশা— শুধু মার্কিন নয়, সব বিদেশি মিশন এবং কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ সরকার।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন