আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

আলোচনার জন্য বেলারুশ সীমান্তে ইউক্রেন প্রতিনিধিরা

রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা জন্য ইউক্রেনের পাঠানো প্রতিনিধিরা ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তের গোমেল অঞ্চলে পৌঁছেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই  এই শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে।

ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বলেছেন, আলোচনায় তাদের প্রধান ইস্যু হচ্ছে যুদ্ধবিরতি এবং ইউক্রেন ভূখণ্ড থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহার।

ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের জন্য তারা একটি স্থান প্রস্তুত করেছে।

বেলারুশ শাসক আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো হামলায় যোগ দিতে সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত এমন খবর সত্ত্বেও ইউক্রেন-বেলোরুশ সীমান্তের কাছে একটি স্থানে কূটনীতিকদের পাঠাতে সম্মত হয় ইউক্রেন।

বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশিয়ান এবং ইউক্রেনের পতাকা সহ একটি দীর্ঘ টেবিলের ছবি প্রকাশ করেছে, যেটি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার স্থান বরে জানানো হয়ে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনাতোলি গ্লাজ বলেছেন, প্রতিনিধিদলের সবাই আলোচনার স্থানে পৌঁছানোর সাথে সাথেই আলোচনা শুরু হবে।

ইউক্রেন বৈঠকে কোনো ছাড় না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি আশা করেন না যে আলোচনা থেকে কোন ফলাফল আসবে।

তিনি বলেন, সব সময়ের মতো আমি সত্যি বিশ্বাস করি না যে এই বৈঠক থেকে কোনও ফলাফল আসবে কিন্তু তার পরও তাদের চেষ্টা করতে দিতে হবে।

এদিকে, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি হালনাগাদ গোয়েন্দা তথ্য টুইট করেছে।

এতে বলা হয়েছে- পুতিনের স্থলবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ কিয়েভের উত্তরে ৩০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থান করছে। তাদের অগ্রগতি ইউক্রেনীয় বাহিনী হোস্টোমেল এয়ারফিল্ডকে রক্ষা করার কারণে ধীর হয়ে গেছে। লড়াইয়ের প্রথম দিন থেকেই এটি রাশিয়ার মূল লক্ষ্য ছিল।

চেরনিহিভ এবং খারকিভের আশেপাশে প্রচণ্ড লড়াই চলছে তবে উভয় শহরই ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন