১০ বছর বয়সেই পর্নো সাইটে ছবি ফাঁস জাহ্নবীর!
তারকা হলেই হল। দিনরাত পাপ্পারাৎজিদের লেন্সের ফোকাস তাদের দিকে। এদিকে পান থেকে চুন খসলেই, যত বড় সুপারস্টারই হোন না কেন, ছেড়ে কথা বলেন না নেটপাড়ার নীতিপুলিশেরা! তারকাসন্তানরাও বাদ যান না! জাহ্নবী কাপুরের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। বলিউডের স্বনামধন্য প্রযোজক বনি কাপুর ও সুপারস্টার অভিনেত্রী শ্রীদেবীর মেয়ে হওয়ায় শৈশব থেকেই লাইম লাইটে ছিলেন জাহ্নবী। আর খ্যাতি যখন রয়েছে, তার বিড়ম্বনায় তো পড়তেই হবে!
এমন এক পরিবারের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও নীল ছবির সাইটে ফাঁস হয়ে যায় জাহ্নবীর ছবি। যদিও সেই সময় বয়স ছিল মাত্র ১০। কিশোরী বয়সে এমন ঘটনায় কোন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় তাকে, এত বছর পর মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
যদিও ছবিটি জাহ্নবীর হলেও তাতে কারসাজি করা হয়েছিল বলেই জানান অভিনেত্রী। শুধু কি তাই? কিশোরী জাহ্নবীর ছবিতে কারসাজির জন্য স্কুলেও হেনস্থা হতে হয়েছে তাঁকে।
জাহ্নবী জানান, ‘ছোট থেকেই আমি ক্যামেরার সামনে। সেটা নতুন কিছু না। আলোকচিত্রীরা আমাকে আমার বোনকে দেখলেই ছুটে আসত ছবি তুলতে। সে রকমই একটা ছবি ছড়িয়ে পড়ে। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি তখন। স্কুলে কম্পিউটার ক্লাসে ঢোকা মাত্রই স্ক্রিনে আমার ছবি নিয়ে হাসাহাসি করতে শুরু করে সহপাঠীরা। শরীরে কেন এত লোম, সেই নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা চলে। আমাকে যেন অন্য নজরে দেখা শুরু করল সকলে।’
তিনি বলেন, প্রথমটায় বুঝতে পারিনি যে কেন আমাকে খারাপ মেয়ে ভেবে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন তাঁরা। বন্ধুরাও কেমন আড়চোখে তাকাত। সকলেই জিজ্ঞেস করত কবে স্কুলের পাঠ চোকাব? কিংবা ইয়াহু সার্চিং সাইটে আমার ছবিই বা গেল কী করে?
শুধু কি তাই? শেষে জাহ্নবীর সংযোজন, ‘‘লোকে এই মর্ফ করা ছবিগুলিকে সত্যি ভাবত। সেটা আমার কাছে যেন আরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’বহু দিন পর্যন্ত শরীর নিয়ে খুব অস্বস্তি ছিল জাহ্নবীর। অভিনয় শুরু করার পর ধীরে ধীরে সেই চিন্তুগুলি কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন তিনি।
২০১৮ সালে ‘ধড়ক’ সিনেমার হাত ধরে বলিউডে পাড়ি দিয়েছিলেন জাহ্নবী কাপুর। তার পর বছর পাঁচেক কেটে গেছে। বিভিন্ন ছবিতে নানারকম চরিত্রে নিজেকে এক্সপেরিমেন্ট করে অভিনেত্রী হিসেবে ভার্সেটাইলিটি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে মুম্বাইয়ের ডাকসাইটে পরিবারের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও পার পাননি জাহ্নবী! কিশোরী বয়সেই তাঁর ছবি ফাঁস হয়ে যায় পর্নসাইটে।