‘আমেরিকায় বসে বলছেন, আমেরিকায় না গেলে কী হবে’
আমেরিকায় বসে বলছেন, আমেরিকায় না গেলে কী হবে। সব দেশের সরকারপ্রধানেরা বক্তব্য দিয়ে বাড়ি চলে গেছেন, উনি ওখানে বসে কী করছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে হলে জেলে যেতে হবে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেছেন, এই প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দেয়ার দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছেন। শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তাকে তার পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলা ও সাজার প্রতিবাদে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৯০–এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এবং সাবেক ছাত্রনেতাদের উদ্যোগে এই সভা হয়।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, উনার মন্ত্রীরা, সরকারি কর্তারা বলছেন, আমেরিকা না গেলে কী হবে। আপনার আমেরিকা যাওয়া নিয়ে চিন্তা নয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য চিন্তার বিষয়। এসব দেশের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হয়। গার্মেন্টসের বড় রফতানি হয় আমেরিকায়। একজন গার্মেন্টস কর্মীর তো চাকরি চলে যাবে। এর সঙ্গে অর্থনৈতিক ও মানবিক সম্পর্ক।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে এখন যে সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছি, তা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। আবার তাকে জেলে যেতে হবে, আদালতে যেতে হবে। আদালতের কাছ থেকে তাকে অনুমতি নিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, তাকে মুক্তি দিচ্ছে না, বাইরের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ভোট চুরির প্রকল্প হিসেবে খালেদা জিয়া, আমান উল্লাহ আমানসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীরা জেলে আছেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খালেদা জিয়াকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। তাকে মুক্ত করতে হলে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।
এএম/