কোভিডের থেকেও ভয়ংকর যে রোগ নেবে অগুণতি প্রাণ!
সারা পৃথিবীর তাবড় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এখন ডিজিজ এক্স (Disease X) নিয়ে চিন্তিত। কারণ, ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লুএইচও এ অসুখ নিয়ে নিজেদের দুশ্চিন্তার কথা শুনিয়ে রেখেছে। এমনকী এ অসুখের ক্ষতিকর প্রভাব যে কোভিডকেও ছাড়িয়ে যাবে, এমনটা দাবি করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। তাই বিশেষজ্ঞ মহলে এ অসুখ নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে তুঙ্গে।
ডিজিজ এক্স নিয়ে এখন মাতামাতি শুরু হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিন্তু ২০১৮ সালেই এ অসুখের কথা উল্লেখ করেছিল। কিন্তু এরপর সকলেই কোভিড নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে, এ অসুখ পিছনের সারিতে চলে গিয়েছিল।
তারপর এখন যখন, কোভিড মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে, ঠিক তখনই ডাব্লুএইচও এ অসুখ নিয়ে সকলকেই সতর্ক করছে। ঠিক এ কারণেই বিশেষজ্ঞ মহলে এ রোগ নিয়ে এত আলোচনা। রোগটা কী? ডিজিজ এক্স রোগটি সম্পর্কে এখনও নির্দিষ্ট করে কিছুই জানা যায়নি। এমনকী এ রোগটির পিছনে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া না ফাঙ্গাসের কারসাজি থাকবে, এ বিষয়েও কিচ্ছুটি জানাতে পারেনি ডাব্লুএইচও।
শুধু এইটুকু জানা গিয়েছে যে, এমন একটি রোগ আগামীদিনে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে যার ভয়াবহতা হবে করোনার থেকেও বেশি। এ জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা হবে ভাবনার অতীত। এমনকী এই রোগের মর্টালিটি রেট হবে প্রায় ৭০। অর্থাৎ ১০০ জন আক্রান্ত হলে ৭০ জন প্রাণ হারাবেন। রোগ লক্ষণ কি জানা গিয়েছে? না, এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা যাবে, এ বিষয়ে এখনও কিছু প্রকাশ্যে আসেনি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডিজিজ এক্স-ও ঠিক করোনার মতোই একটি জুনটিক ডিজিজ হবে। অর্থাৎ অন্য কোনও প্রাণীর শরীর থেকেই এ রোগের জীবাণু মানুষের দেহে প্রবেশ করবে এবং তারপর দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তাহলে এখনও কি এ অসুখের কোনও চিহ্নই পৃথিবীর বুক নেই? এখনও এ রোগে কোনও মানুষ আক্রান্ত হননি। তবে ডাব্লুএইচও কিন্তু হাওয়ায় হাওয়ায় এ ধরনের কথা বলছে না। বরং তারা নিশ্চয়ই এমন কোনও প্রমাণ পেয়েছে যার ফল হল এমন ভবিষদ্বাণী। এমনকী এ রোগের পিছনে বায়োলজিক্যাল ওয়েপন থাকলেও থাকতে পারে। তাই এই অসুখ নিয়ে অন্তত চিকিৎসক মহলকে সাবধান থাকতে হবে। কীভাবে সতর্ক হবেন? যেই রোগের লক্ষণ, জীবাণু এবং চিকিৎসা সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি, সেই অসুখ নিয়ে সাধারণ মানুষের অহেতুক দুশ্চিন্তার কারণ নেই। বরং যদি কখনও এ অসুখ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে, তখন না হয় সকলে মিলে করোনার মতো করেই এর মোকাবিলা করা যাবে। তাই আপাতত বেশি দুশ্চিন্তা করে সুগার, প্রেশার বাড়াবেন না।
সূত্র: হেলথ লাইন