আর্কাইভ থেকে অপরাধ

পুলিশ হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক উপ-পরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

চান্দগাঁও থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শহীদুল্লার ছেলে ক্যাপ্টেন নাফিস শহিদ বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে চান্দগাঁও থানার দুজন এএসআই গিয়ে আমার বাবাকে থানায় নিয়ে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে আমার চাচারা থানায় যান। উনি হার্টের পেশেন্ট। উনার ইনহেলার আর মেডিসিন লাগে সবসময়। বাবাকে থানায় নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফটক বন্ধ করে দেন। ইনহেলার ও মেডিসিনও বাবার কাছে পৌঁছাতে দেয়নি। পরে ১২টার দিকে বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঢাকায় ছিলাম। আমাদের জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল, তবে সাম্প্রতিক কোনো মামলার বিষয়ে আমরা শুনিনি। এমনকি আমার বাবা আদালত থেকে কোনো নোটিশও পাননি।’

শহীদুল্লাহর আরেক ছেলে আসিফ শহীদ বলেন, কোনো ওয়ারেন্ট না দেখিয়েই ধস্তাধস্তি করে বাবাকে নিয়ে গেছে তারা (পুলিশ)। বাবা দুদকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। ন্যূনতম সম্মানটা উনাকে দেয়নি তারা। মার্ডার করেছে তারা, স্প্রেটা পর্যন্ত দিতে দেয়নি। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

তিনি আরও বলেন, বাবাকে দুই দিক থেকে দুজন ও একজন পেছনে শার্টের কলার ধরে ছিলেন, তবে সিসিটিভি ক্যামেরা যেখানে যেখানে আছে, সেটা পয়েন্ট আউট করে সেখান দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে গেছে।

নগর পুলিশের উত্তর জোন উপ-কমিশনার (ডিসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে একটি সিআর মামলায় আদালতের পরোয়ানার ভিত্তিতে দুদকের সাবেক ডিডি শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় আনার পর তিনি অসুস্থবোধ করলে তাকে প্রথমে ওসির রুমে বসানো হয়। সেখানে তার স্বজনরা আসেন। এরপর স্বজনদের নিয়ে অটোরিকশাযোগে ওনাকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, নিহতের মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন