আর্কাইভ থেকে ইউরোপ

জব্দ করা ইরানের অস্ত্র ইউক্রেনকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের কাছ থেকে জব্দ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইউক্রেনকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধের জন্য এখন প্রয়োজনীয় অস্ত্রের সংকটে আছে ইউক্রেন। বলা হচ্ছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সে সংকট কাটাতে সাহায্য করবে এসব অস্ত্র।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গেলো বছর ইরানের কাছ থেকে জব্দ করা ১১ লাখ রাউন্ড বুলেট ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে অভিযান তদারকি করা ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলছে, গেলো বছরের ডিসেম্বরে ইয়েমেনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একটি জাহাজ থেকে এসব অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।

ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা সম্প্রতি সতর্ক করেছে যে, ইউক্রেন যে হারে গোলাবারুদ ব্যবহার করছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে তাদের রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে। সেন্টকম জানিয়েছে, ইরানি অস্ত্রগুলো সোমবার (২ অক্টোবর) ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো ও ব্রিটেন এর আগে জানিয়েছে, ইউক্রেনকে দেয়ার মতো গোলাবারুদের মজুত ফুরিয়ে আসছে। গেলো দেড় বছরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রতিদিন হাজার হাজার গোলাবারুদ খরচ করছে ইউক্রেন। এ গোলাবারুদের বেশিরভাগই সরবরাহ করছে ন্যাটো।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস হিপ্পি জানিয়েছেন, পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর গোলাবারুদের মজুত কিছুটা কম বলে মনে হচ্ছে। তারপরেও ইউক্রেনকে সহায়তা চালিয়ে যেতে হবে। পশ্চিমারা থেমে যাওয়া মানে এই নয় যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও থেমে যাবেন।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনকে ৩ লাখের বেশি গোলাবারুদ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ দেশটিকে আরও কয়েক হাজার গোলাবারুদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। আর একই সময়ে ইউক্রেনকে ২০ লাখের বেশি কামানের গোলা দেয়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

মারওয়ান১ নামের একটি জাহাজ থেকে মার্কিন নৌবাহিনী গত ৯ ডিসেম্বর যুদ্ধাস্ত্র জব্দ করে। এমন সম্পদ যার মালিক অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত তা বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। এমন দাবি করে পরবর্তীতে মার্কিন সরকার গত জুলাই মাসে এসব অস্ত্রের মালিকানা লাভ করে। এসব অস্ত্র ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের বলে অভিযোগ আনা হয়।

ইয়েমেনের চলমান গৃহযুদ্ধে হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে আসছে ইরান। কিন্তু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২০১৫ সালের প্রস্তাবের অধীনে এই গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র হস্তান্তর নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় ২০১৪ সালে। সে সময় হুথি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং দেশটির সরকারকে উৎখাত করে। গত ডিসেম্বরে ইয়েমেনকে সহায়তা দিতে জাহাজে করে ইরান যেসব অস্ত্র সরবরাহ করছিল সেগুলোই জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি ওয়াশিংটনের।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন