শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মদী
চলতি বছরশান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন ইরানের মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদী।নরওয়ের নোবেল কমিটি শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে।
২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী আরেক ইরানি নারী শিরিন এবাদি পরিচালিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)ডিফেন্ডার্স অব হিউম্যান রাইটস সেন্টার-এর উপ-প্রধান তিনি। ১৯তম নারী হিসেবে মোহাম্মদী ১২২ বছর পুরনো নোবেল শান্তি পুরস্কারটি পেলেন।
২০২২ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন বেলারুশের মানবাধিকার আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রাশিয়ান মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।
ইরানে নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং সবার জন্য মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার থাকার জন্য বর্তমানে কারাবন্দি এই মানবাধিকারকর্মীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নার্গিস মোহাম্মদী একজন নারী, মানবাধিকারকর্মী ও স্বাধীনতা যোদ্ধা। তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য সাহসী লড়াইয়ের ফলে ব্যক্তিগত অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ইরানের শাসকরা তাকে ১৩ বার গ্রেফতার করেছে, পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত করেছে, সব মিলিয়ে ৩১ বছরের কারাদণ্ড ও ১৫৪টি বেত্রাঘাত করেছে। তিনি এখনও কারাগারে।
এতে আরো বলা হয়, ইরানে নারীদের নিয়ে সরকারের বৈষম্যমূলক ও নিপীড়নমূলক নীতির বিরুদ্ধে ২০২২ সালে হাজারো নারীর বিক্ষোভ ও আন্দোলনের্র স্বীকৃতি দিয়েছে নোবেল কমিটি।
বিক্ষোভকারীরা যে মন্ত্র গ্রহণ করেছেন তা হলো, নারী, জীবন, স্বাধীনতা। যা নার্গিস মোহাম্মদীর আত্মত্যাগ ও কাজকে উপযুক্তভাবে প্রকাশ করে।প্রসঙ্গত, চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরষ্কারে জন্য মনোনীতি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩৫১ জন। এখন পর্যন্ত প্রতি বছর মনোনীত সংখ্যার ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল ৩৭১।
এবছর শান্তিতে নোবেল জয়ী পাচ্ছেন প্রায় ১০ লাখ মার্কিন ডলারসহ ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের একটি পদক ও সনদ। বিভিন্ন সময়ে আর্থিক পুরস্কারের মূল্য কমেছে ও বেড়েছে। নোবেল ফাউন্ডেশন বলেছে, প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় এবার তা বাড়ানো হয়েছে।