আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মারিওপোল ও ভলোনোভাখায় কেন যুদ্ধবিরতি

বেসামরিক মানুষজনকে নিরাপদে সরে যেতে দেয়ার জন্য ইউক্রেনের দুইট শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। একে 'হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর' বলে তারা বর্ণনা করেছে। শহর দুটি হচ্ছে মারিওপোল ও ভলনোভাখা।

গেলো বৃহস্পতিবার থেকে মারিওপোল শহর অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়া। সাড়ে চার লাখ মানুষের এই শহরটির ওপর রাশিয়া ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছে।

মারিওপোলের নিয়ন্ত্রণ পেলে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় বন্দর নগরী রাশিয়ার হাতে চলে যাবে। এর মাধ্যমে রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলের সঙ্গে ক্রাইমিয়ার করিডোর তৈরি হবে। ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া সংযুক্ত করে নিয়েছিল রাশিয়া।

ভলোনোভাখা শহরটির হয়তো পরিচিতি তেমন নেই। কিন্তু রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর এই শহরে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

এটি দোনেৎস্ক ও মারিওপোল শহরের সড়কের মাঝে অবস্থিত হওয়ায় কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মারিওপোলে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে ইউক্রেন।

মারিওপোলের ডেপুটি মেয়র সেরহাই অরলভ বিবিসিকে বলেছেন, রুশরা আমাদের ওপর এখনও বোমা ফেলছে। এখনও তারা আমাদের ওপর গোলাবর্ষণ করে চলেছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর প্রায় ১২ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন