আর্কাইভ থেকে জাতীয়

ফের ক্ষমতায় আসলে ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় হবে: প্রধানমন্ত্রী

‘ফরিদপুর সব থেকে পুরোনো একটা শহর, অথচ সবসময় অবহেলিত। আমি এখানকার প্রত্যেকটা এলাকা ঘুরেছি। আমি দেখেছি, কী অবস্থা। ফরিদপুরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।ইনশাআল্লাহ্‌ আগামীতে সরকারে আসতে পারলে আমরা সেই বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর)বিকেলে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে জেলা শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী লীগ সরকার করে। প্রতি বিভাগে বিভাগীয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এ পর্যন্ত ৪টা করে দিয়েছি আমরা। ফরিদপুর সব থেকে পুরোনো একটা শহর, অথচ সবসময় অবহেলিত। আমি এখানকার প্রত্যেকটা এলাকা ঘুরেছি। আমি দেখেছি, কী অবস্থা। ফরিদপুরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।

দেশ ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই দেশে ফেরা-মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,স্বজন হারিয়ে এই দেশে ফিরে এসেছিলাম ছয় বছর পর। যখন আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিল, একটা প্রত্যয় নিয়েই এসেছিলাম। আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, এই দেশের মানুষের ভাতের কষ্ট থাকবে না। কেউ গৃহহীন হয়ে থাকবে না। প্রত্যেকের দোরগোড়ায় চিকিৎসা পৌঁছে দেব। শিক্ষার মান উন্নত করবো। উন্নত জীবন দেব। এই লক্ষ্য নিয়েই আমার দেশে ফেরা।

এর আগে,দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে মাওয়া থেকে পদ্মা রেলসেতু দিয়ে ট্রেনযোগে জনসভায় যোগ দেন তিনি। তার সাথে আছেন ছোট বোন শেখ রেহানা ও নাতি-নাতনিরা।

এরও আগে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আংশিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রী হিসেবে টিকিট কেটে ট্রেনে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর কাউন্টার থেকে টিকিট কাটেন শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রী নিজেই হুইসেল (বাঁশি) বাজান এবং সংকেত দেন ট্রেন ছাড়ার। আর মাওয়া প্রান্ত থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ট্রেনও ছুটে চলে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন