আর্কাইভ থেকে জাতীয়

১০টা হোন্ডা,২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা: প্রধানমন্ত্রী

‘জনগণের ভোটের অধিকার জনগণেরে হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। আর মিলিটারি ডিক্টেটর জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া-এদের সময় কেউ ভোট দিতে পারতো না। কথাই ছিলো-১০টা হোন্ডা, ২০িটা গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা।’

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর)বিকেলে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে জেলা শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

রাজনীতি হচ্ছে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মানুষের পাশে থাকা-উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র আছে। স্থিতিশীলতা আছে। যেকারণে আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। সমগ্র বাংলাদেশে ওয়াইফাই কানেকশন আছে। স্কুলে স্কুলে ল্যাব করে দিচ্ছি। আমরা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যাতে তারা কাজ করতে পারে, ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘লুটেরা বিএনপি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেছে। দুর্নীতি করে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বিএনপির নেতা। জামায়াত যুদ্ধাপরাধী। এরা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচার জন্য নৌকাই আপনাদের রক্ষা করবে।’

এসময় নৌকায় ভোট চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বাধীনতার মার্কা নৌকা। উন্নয়নের প্রতীক নৌকা। নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন। এ নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে এত উন্নয়ন সমৃদ্ধি। এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন।

শেখ হাসিনা বলেন, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ভূমি এবং গৃহ দিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস করে দিয়েছি। তৃতীয় লিঙ্গদের ঘরবাড়ি দিয়েছি। কেউ পিছিয়ে থাকবে না। সবাইকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।

ফের আবাদের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের সব জায়গা আবাদের আওতায় আনতে হবে। নিজেরা উৎপাদন করবো, নিজেদের চাহিদা পূরণ করবো। প্রয়োজনে অন্যদের দেবো। পাশাপাশি আমাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের ধর্ম যাতে মানুষ ঠিকমতো জানে, সেজন্য সারাদেশে মডেল মসজিদ করে দিয়েছি। আমাদের দেশে সব ধর্মের মানুষ তার ধর্ম পালন করবে। এখানে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাংরাদেশের মানুষ পাশে থাকলে অসাধ্য সাধন করা যায়। পদ্মা সেতু করে দিয়ে সেটা আবারও প্রমাণ করলাম। জাতির পিতা বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আসলেই পারেনি।

তিনি বলেন,ব্যাংকের এমডি থাকতে দেইনি বলে সেই ক্ষোভে হিলারি ক্লিনটনকে বলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম, বলেছি নিজেদের অর্থে করবো,করেছি।

কৃষক ও কৃষির উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের এখনো অনেক খাদ্য মজুত আছে। ১৮ মেট্রিক টন চাল মজুত আছে। আবার ধান উঠছে মাঠ থেকে। এ ধান কাটতে আমাদের ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগ নেমে গিয়েছিল। এটাইতো রাজনীতি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন