আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পরীর রান্নার প্রশংসায় পঞ্চমুখ শ্বাশুড়ি

বর্তমান সময়ে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। শুধু অভিনয় নয় ব্যক্তি জীবনের নানান বিষয় নিয়েও খবরের শিরোনাম হয়ে থাকেন তিনি। এবারও তিনি আলোচিত হলেন তবে কোনো খবরের শিরোনামে নয়। আলোচিত এবং প্রশংসিত হলেন স্বয়ং শ্বাশুড়ি মা’র কাছে। বিভিন্ন সময় মানুষকে খাওয়ানোর জন্য বাহবা পেয়েছিলেন এই নায়িকা। এবার পরীর রান্নার প্রশংসা করলেন তার শ্বাশুড়ি।

গেলো বুধবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বিনোদন কেন্দ্রে পরীমণি ও শরিফুল রাজ অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘গুণিন’-এর জমকালো প্রিমিয়ারের আয়োজন করা হয়। যে সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই প্রেম, বিয়ে এবং সন্তানের বাবা-মা হতে যাচ্ছেন রাজ-পরী। অনুষ্ঠানে বর-কনে সেজে হাজির হয়েছিলেন এই দম্পতি। তাই উপস্থিত সকলের নজর কাড়তে একটুও ভুল করেননি রাজ-পরী। নবদম্পতি মঞ্চে ওঠার পর ব্যাকগ্রাউন্ডে সজোরে বেজেছে বিয়ের গান। যেন সিনেমার প্রিমিয়ার নয়, এটি বিয়েরই আয়োজন। সঙ্গে ছিলেন রাজের মা জাহানারা বেগম এবং পরীমণির নানা শামসুল হক। 

প্রিমিয়ার শেষে ফটোসেশন পর্বে পুত্রবধূ পরীমণির প্রশংসায় পঞ্চমুখ তার শ্বাশুড়ি জাহানারা বেগম। তিনি জানান, পরীমণির রান্না করা গরুর মাংস ও চিংড়ি মাছ তার অনেক প্রিয়।  

পরীমণির শাশুড়ি জাহানারা বেগম বলেন, তার পুত্রবধূ নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ায়, আদর-যত্ন করে আবার অনেক খেয়ালও রাখে তার। এককথায় সে অনেক ভালো একজন মানুষ। শ্বাশুড়ি হিসেবে নয় মা হিসেবে তিনিও পরীর অনেক খেয়াল রাখেন।

গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘গুণিন’-এর প্রিমিয়ারে একইসঙ্গে পরীমণি ও শরিফুল রাজের বিবাহোত্তর সংবর্ধনাও হয়ে গেছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বধূ বেশে পালকিতে চড়ে অনুষ্ঠান স্থলে আসেন পরীমণি। আর সেই পালকি কাঁধে নিয়েছেন তারই স্বামী শরিফুল রাজ। তিনি সাজেন বরের রূপে। যা ছিল মূলত সিনেমার প্রচারণার অংশ।

প্রিমিয়ারে পরীমণি, শরিফুল রাজ ছাড়াও উপস্থিত হয়েছেন অভিনেতা ইরেশ যাকের, নির্মাতা ও ‘চরকি’র প্রধান নির্বাহী রেদওয়ান রনিসহ শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই।

কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ছোটগল্প ‘গুণিন’ থেকে নেয়া হয়েছে এ সিনেমার গল্প। চিত্রনাট্যটি সাজিয়েছেন নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম । নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম। ‘গুণিন’ সিনেমার গল্প গ্রামীণ ওঝা রজব আলী গুণিনকে নিয়ে। তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ছিল। এই ক্ষমতার জোরে গ্রামে তার বিশাল প্রভাব। তার তিন নাতি রহম, আলী ও রমিজ। গুণিনের রহস্যজনক মৃত্যুর পরবর্তী পরিস্থিতিতে তার দুই নাতি তথা আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ত্রিভুজ প্রেমের গল্পই এই চলচ্চিত্রের মূল উপজীব্য। এতে রাবেয়া চরিত্রে দেখা যাবে পরীকে, আর রমিজ হয়েছেন রাজ। 

আগামী ১১ মার্চ সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘গুণিন’। এরপর এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চরকির ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন