আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

ডা. লিপি হত্যা মামলার প্রতিবেদন পিছিয়ে ১৫ নভেম্বর

গ্রীন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপির মরদেহ উদ্ধারের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৫ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মো. জুয়েল মিঞা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত নতুন দিন ধার্য করেন।

আদালতের কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ সাফায়েত এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ২০২১ সালের ৩০ মে রাজধানীর কলাবাগান থেকে গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১ জুন সাবিরার ফুফাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩০ মে সকালে কলাবাগান প্রথম লেনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটের শয়ন কক্ষ থেকে চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান ওরফে লিপির রক্তাক্ত ও দগ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ডা. লিপি যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, সেটিতে তিনটি কক্ষ। একটি কক্ষে লিপি, বাকি দুটি কক্ষে দুই তরুণী থাকতেন। লিপির পাশের কক্ষে থাকা কানিজ সুবর্ণা মডেলিং করেন। আরেকটি কক্ষে যে তরুণী থাকেন, তিনি ঘটনার আগেই বাড়িতে গিয়ে আর ফেরেননি। ওই তরুণী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসনে (বিবিএ) পড়েন। এই ২ জনকে হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

থানা পুলিশের হাত ঘুরে পিবিআই মামলার তদন্ত পাওয়ার পর ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল ডা. লিপির স্বামী এ কে এম সামছুদ্দিন আজাদকে শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত রয়েছেন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন