আর্কাইভ থেকে এশিয়া

সৌদির আরামকো তেল স্থাপনায় হুথিদের হামলা

আবারো সৌদি আরবের প্রধান তেল স্থাপনা আরামকোয় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। স্থানীয় সময় রোববার দেশটির রাস তানুরায় অবস্থিত সৌদি আরামকো তেল কারখানায় ওই হামলা চালায় তারা। এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির হয়নি বলে দাবি করেছে সৌদি আরব। তবে এ ঘটনায় বিশ্ব বাজারে বেড়েছে তেলের দাম। হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব নেতারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, বৈশ্বিক তেল সরবরাহের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট করার লক্ষ্যে হামলাটি চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে সৌদি আরব।

এদিকে তেল স্থাপনায় হামলার কথা স্বীকারের পাশাপাশি দাম্মাম, আসির ও জাজান শহরে সৌদির কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবিও করেছে হুথি বিদ্রোহীরা।

এক বিবৃতিতে সৌদির জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাস তানুরায় দেশটির প্রধান তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হলেও সেখানে কোনো হতাহত বা ক্ষতি হয়নি। ওই তেল স্থাপনায় তেল পরিশোধন করা হয়। এটি বিশ্বের বৃহত্তম তেল স্থাপনা।

রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ধাহরানের আরামকো আবাসিক কম্পাউন্ডের কাছেই একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। সৌদির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের হামলা শুধু সৌদির ওপরই নয় বরং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা, একইসঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বড় হামলা।

এদিকে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র ইয়াহইয়া সেরিয়া জানান, সৌদি সীমান্ত দিয়ে ১৪টি ড্রোন এবং ৮টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। সৌদির প্রাণকেন্দ্রে বড় ধরনের হামলা এটি।

হুথিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সৌদি জোটের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হুথিদের হামলার বিরুদ্ধে নিজেদের সুরক্ষায় এবং জ্বালানি সরবরাহের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, হামলার পর রিয়াদে মার্কিন দূতাবাসে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সম্ভাব্য বিস্ফোরণ ও হামলা সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি আরব।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন