আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

ধানক্ষেতে পড়ে ছিল ভ্যান চালকের হাত-মুখ বাঁধা মরদেহ

প্রতিদিন মধ্যরাত পর্যন্ত ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান মেহেদুল ইসলাম (৫২)। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি তিনি। কিন্তু ভ্যান চালিয়ে সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতে বাড়ি ফেরেননি মেহেদুল। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ভোরে তার মরদেহ মিলেছে রাস্তার পাশের ধানের জমিতে।

ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩ নম্বর সিংড়া ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের ডাঙ্গাগ্রামের রাস্তার পাশে ধানের জমিতে একটি হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। তবে পাওয়া যায়নি তার ব্যবহৃত ভ্যানটি।

পুলিশের ধারণা, ভ্যান ছিনিয়ে নিতেই হত্যা করা হয়েছে ভ্যানচালক মেহেদুলকে।

নিহত মেহেদুল ইসলাম সিংড়া ইউনিয়নের আব্দুল্লাপাড়া গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। চার মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে তার সংসার। বড় দুই মেয়ের বিয়ে দিলেও তার কাঁধে ছিল ছয় সদস্যের পরিবার।

৩ নম্বর সিংড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে তিনিও ঘটনাস্থলে যান। মেহেদুলের পরনে থাকা লুঙ্গি দিয়েই বেঁধে রাখা ছিল তার অর্ধনগ্ন মরদেহ।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ধারণা করছি এটি হত্যা। নিহতের দুই হাত এবং দুই পা সাদা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন