বাড়ির পথে হাদিসুরের মরদেহ, দাফন কাল
খুব শিগগিরি মায়ের কাছে ফেরার কথা ছিলো হাদিসুরের। মায়ের কাছে ফিরলেন ঠিকই তবে কফিনবন্দি হয়ে। ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে বিমান হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ নেয়া হচ্ছে গ্রামের বাড়ি বরগুনায়। আসছে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে তাকে।
আজ সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২ টার কিছু আগে মরদেহবাহী বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এরপর দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের হয়ে হাদিসুরের মরদেহবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি যাত্রা শুরু করে তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগীর উদ্দেশ্যে।
হাদিসুরের বাবা আবদুর রাজ্জাক মাস্টার গণমাধ্যমে জানান, বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক গোরস্তানে কবর প্রস্তুত করা হচ্ছে।
গেলো রোববার (১৩ মার্চ) হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু রোমানিয়া থেকে মরদেহ তুরস্কে আসার পর সেখানে তুষারপাতের কারণে ফ্লাইট বাতিল হয়।
গেলো ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে আটকা পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। ২ মার্চ রাত ৯টা ২৫ মিনিটে জাহাজটিতে বিমান হামলা হয়। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। জাহাজে থাকা নাবিকরা সবাই মিলে আগুন নেভায়। হামলায় জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমান আরিফ মারা যান।
এর পরপরই জাহাজে থাকা নাবিকরা ভিডিও বার্তায় তাদের নিরাপদে উদ্ধারে আকুতি জানায়। পরদিন ৩ মার্চ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় দিকে জাহাজের জীবিত ২৮ নাবিককে ইউক্রেনের একটি বাংকারে নেয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গেলো বুধবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টায় ইউক্রেনে আটকে পড়া জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধির’ ২৮ নাবিক দেশে পৌঁছান।
অনন্যা চৈতী