ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টকে ফোন মোদির
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-আহলি হাসপাতালে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। হামলার পরই হামাস ও ইসরায়ল পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলে। তবে ইসরায়েল দাবি করে, গাজার অপর সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের ছোড়া একটি রকেট ফসকে গিয়ে সেখানে আঘাত হানে। এতে হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
গেলো বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) হাসপাতালে হামলার এই ঘটনায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডলে নিজেই সে কথা জানিয়েছে তিনি
মোদি জানান, গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনে মানবিক সাহায্য পাঠানোর কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশিই ইজরায়েল নীতি নিয়ে ভারতের অবস্থানের কথাও জানানো হয়েছে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টকে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো (৭ অক্টোবর) থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় ৩ হাজার ৭৮৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে শিশুই হলো ১ হাজার ৫২৫ জন। এর মধ্যে মঙ্গলবার গাজর আল আহলি হাসপাতালে আছড়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র। নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে বুধবারই।
গাজার হাসপাতালে হামলার নিন্দা জানিয়েছে প্রায় সব দেশই। তবে পশ্চিমা দেশগুলো কৌশলী অবস্থান নিয়ে কারও নাম না করে বলছে— যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের দায় নিতে হবে।
নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডলে জানান, তার সঙ্গে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাসের কথা হয়েছে। গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হওয়া নিয়ে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কড়া নিন্দা জানিয়েছেন সহিংসতা এবং সন্ত্রাসের। এ ছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ইজরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে ভারত দীর্ঘ দিন ধরে যে অবস্থান নিয়ে এসেছে, এ বারও সেই অবস্থানেই অটল থাকবে তারা।
ইজরায়েল নীতি নিয়ে মোদি সরকারের অবস্থান প্রশ্নের মুখে পড়েছে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে। সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি। তাদের বক্তব্য, জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে মনমোহন সিং, এমনকি বিজেপির প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী পর্যন্তও চিরকাল ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ভাবে এই প্রথম প্রকৃত সমস্যা না দেখে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বলছে— ভারত সরকার মোটেই ফিলিস্তিনের বিরোধিতা করেনি। প্রধানমন্ত্রী শুধু হামাসের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের নিন্দাই করেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের দাবিকে অগ্রাহ্য করেননি।