আর্কাইভ থেকে জাতীয়

ঢাকা ১৩ লাখের বেশি মোটরসাইকেল, রিকশার হিসাব নেই

রাজধানীতে এখন ১৩ লাখের বেশি মোটরসাইকেল। রিকশার হিসাব কেউ জানে না। এ পরিস্থিতিতে রাজধানী ঢাকা এখন পৃথিবীর ধীরগতির শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠেছে। তবে যানজট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অনেকগুলো ফ্লাইওভার, ওভারপাস, ইউলুপ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এরপরও রাজধানীর যানজট কমছে না, বরং বাড়ছে। কারণ এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট মাত্রায় স্টাডি করা হয়নি।

শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থাপনা ও সড়ক নিরাপত্তা পর্যালোচনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনটি রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এবং রোড সেফটি ওয়াচ ডটকম আয়োজন করে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ লিখিত বক্তব্যে গণমাধ্যমে জানান, বর্তমানে রাজধানীর গণপরিবহন ৫৩ শতাংশ যাত্রী বহন করে, আর ব্যক্তিগত গাড়ি ১১ শতাংশ যাত্রী বহন করে। অথচ সড়কে ৭০ শতাংশের বেশি জায়গা দখল করে চলে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা। যানজটের কারণে মানুষ বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছে।

রাজধানীর যানজট কমানো এবং যাতায়াতের সুবিধার জন্য মেট্রোরেল নির্মাণ করে আংশিক চালু করা হয়েছে। ২টি সাবওয়ে নির্মাণ শুরু হচ্ছে। রাজধানীর ২/৩টি রুটে ‘নগর পরিবহন’ নামে একটি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এ সার্ভিস যাত্রীসেবাই কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর গণপরিবহনের এ নৈরাজ্যের কারণে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ কষ্টের শিকার হচ্ছে।

সাংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ জাহাঙ্গীর, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসিনা বেগম, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ফেরদৌস খান, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদ খান, রোড সেফটি ওয়াচ ডটকম এডিটর হারুন অর-রশীদ, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি ও বিশ্বব্যাংকের কনসালটেন্ট তৌফিকুজ্জামান ও রেজিন্ট ডিজিটাল (কানাডাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান) রিসার্চ অ্যান্ড ডিজিটাল ইন্টারভেনশন এক্সপার্ট সিইও আমিনুর রহিম।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন