‘কেউ পূজার পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে ধরে ফেলুন, না হলে চিহ্নিত করুন’
‘যদি কোনো দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তি অপকর্ম করতে চায়, পূজার পরিবেশ নষ্ট করতে চায়, তাদের সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলবেন। আর যদি ধরতে সম্ভব না হয় অন্তত পক্ষে চিহ্নিত করে রাখবেন আমরা তাদের ধরে ফেলবো। বললেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
রোববার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ আহ্বান জানান তিনি।
পূজা উদযাপন কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, রাত ১২ টার পর থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত দুষ্কৃতিকারীরা সুযোগ নেয়। এসময়ে একটা অঘটন ঘটিয়ে হিন্দু ভাইদের মনে কষ্ট দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। আমরা আপনাদের আহ্বান করবো একজন না একজন এসময়ে মণ্ডপে থাকেন।
এসময় আইজিপি বলেন, আমরা সবাই মিলে যখন থাকি, তখন কোনো দুষ্কৃতিকারী এ ধরনের আয়োজনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে না। এ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টিকারীদের কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এখানে যেই পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে, দেশের সব জায়গায় এ পরিমাণে নেই।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই— সারাদেশে উৎসব উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন হচ্ছে, তা বিজয়া দশমী পর্যন্ত থাকবে বলে প্রত্যাশা রাখছি। শুভ শক্তির উদয় হোক এবং অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটুক।
আইজিপি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি প্রতিবছরই পূজামণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাইবোনেরা সবাই একটা অনুকূল পরিবেশ পাচ্ছে এবং তারা তাদের ধর্মীয় উৎসব উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পূজামণ্ডপ স্থাপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আসার বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, এখানে এসে আমরা জানান দিতে চাই, আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক যেই সম্প্রীতি এটা একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। সেই উজ্জ্বল নিদর্শন স্থাপন করে আমরা সবাই একত্রে বসবাস করি। এটা সকলে জানান দিতে চাই এবং সকলে আমরা আসি একাত্মতা প্রকাশ করতে।