বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে আজ মহানবমী
আজ মহানবমী। মহানবমী মানেই মায়ের পুজোর এক মহার্ঘ দিন। দূর্গাপূজার শেষ দিনে অর্থাৎ নবম দিনে দেবী দুর্গাকে সিদ্ধিদাত্রী রূপে পুজো করা হয় থাকে। নবমীর সন্ধ্যা আরতির পর বিষাদের সুর বাজে সর্বত্র। এ বছরের মতো বাপের বাড়িতে উমার শেষ দিন। নবমী রাত থেকেই যেন বিদায়ের ঘণ্টা বাজে মণ্ডপে মণ্ডপে। এ বছর দেবী দুর্গা এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে, বিদায়ও নেবেন ঘোটকেই।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই বিহিতপূজার মাধ্যমে শুরু হয়েছে মহানবমী পূজা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে বাড়বে ভক্তদের ভিড়। ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হবে দেবীদুর্গার। পূজা শেষে যথারীতি থাকবে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রাণের উৎসবে ভক্তদের মাঝে বইবে বিষাদের সুর।
শ্রী শ্রী চণ্ডী থেকে জানা যায়, দুর্গা রুদ্ররূপ (মা কালী) ধারণ করে মহিষাসুর এবং তার তিন যোদ্ধা চণ্ড, মুণ্ড এবং রক্তবিজকে হত্যা করেন। নবমী তিথি শুরুই হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। সন্ধিপূজা হয় অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর সূচনার প্রথম ২৪ মিনিট জুড়ে। মূলত দেবী চামুন্ডার পূজা হয় এই সময়ে। ১০৮টি মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ১০৮টি পদ্মফুল নিবেদন করা হয় দেবীর চরণে। আর ঠিক এই কারণে পূজার মন্ত্রেও সেই বিশেষত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা যায়, মহানবমীর দিনে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবীদুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হবে। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দেবীদুর্গাকে বিদায় জানাবেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।