ডির্ভোসের পর মেয়েকে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বাড়ি নিয়ে আসলেন বাবা
ধুমধাম করে কন্যাকে বিয়ে দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়েছিলেন বাবা। তিনিই আবার শোভাযাত্রা করে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এলেন। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য এক কাহিনী আছে। যে কাহিনীই এই ঘটনার জন্ম দিয়েছে।
প্রেম গুপ্ত। ভারতের ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর বাসিন্দা। কন্যা সাক্ষীকে রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সচিন কুমারের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন বছরখানেক আগে। অভিযোগ, বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। সাক্ষীর উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে তার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনার কথা প্রথম দিকে বাপের বাড়িতে জানাননি সাক্ষী। কিন্তু ক্রমে সেই অত্যাচার বাড়তে শুরু করে।
আর বিষয়টি না গোপন করে বাবাকে জানান সাক্ষী। শুধু তাই-ই নয়, বাবাকে জানানোর আগে নিজেও বিষয়টি সমাধান করার একাধিক বার চেষ্টা করেন বলে দাবি সাক্ষীর। কিন্তু তাতেও অত্যাচারের ছবির কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় শেষমেশ বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাবা প্রেম গুপ্তকেও তার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সাক্ষী। কন্যার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেননি তিনি।
প্রেম বলেন, ‘বাবা-মায়েরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে তাদের মেয়েদের বিয়ে দেন। কিন্তু স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির পরিবেশই যদি খারাপ হয়, যদি সেই মেয়ের উপর দিনের পর দিন অত্যাচার হয়, তা হলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে না রাখাই শ্রেয়। যে মর্যাদা এবং যে সম্মান দিয়ে মেয়েদের শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়, সেখানে যদি সেই সম্মান বা মর্যাদা না-ই থাকে, তা হলে সসম্মানে তাকে বাপের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা উচিত।’
কন্যা সাক্ষীকেও তিনি নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছেন। শুধু তাই-ই নয়, যে ভাবে ধুমধাম করে বাজনা বাজিয়ে শোভাযাত্রা করে মেয়েকে বিদায় দিয়েছিলেন, ঠিক সে ভাবেই শোভাযাত্রা করে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন প্রেম। তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিবেশীরাও। মেয়েকে ফিরিয়ে আনার ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে শেয়ারও করেন প্রেম। অনেকে প্রেমের এই সিদ্ধান্তের সমর্থন করে বলেছেন, ‘এই ঘটনা সেই সব অত্যাচারীদের মুখে কষিয়ে থাপ্পড় মারল।’