আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

জাতির পিতার জন্যই আমরা একটি রাষ্ট্র পেয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

জাতির পিতার জন্যই আমরা আত্মমর্যাদা, আত্মপরিচয় ও একটি রাষ্ট্র পেয়েছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করছি। উদযাপন করছি এই টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে। কারণ তার জন্মস্থানে আমরা এই অনুষ্ঠানটি করতে চাই।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শিশুরা সুরক্ষিত থাকবে, সুন্দর জীবন পাবে। জাতির পিতা এদেশের শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। আমার ছেলে জয়ের সৌভাগ্য হয়েছে আমার বাবার কোলে চড়ে খেলা করতে। তিনি যখন বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতেন মনে হতো তিনি নিজেই যেন শিশু।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকের শিশু দিবস সফল হোক। এই শিশুর জন্য আমরা সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চাই। তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দিয়ে গেলাম। আজকের শিশুরা হবে আগামী দিনের কর্ণধার। শিশুদের ভবিষ্যৎ যাতে উজ্জ্বল হয়, সুন্দর হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের সকল কর্ম পরিকল্পনা।

তিনি বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে তিনি কেবল এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাত। আমি আর আমার ছোট বোনে রেহানা বেঁচে গিয়েছিলাম। স্বজন হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে রিফিউজির মত দেশ-বিদেশে কাটাতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি ফিরে এসেছিলাম। এমন একটি অবস্থায় যেখানে ঘাতক, যুদ্ধাপরাধী, আল-বদর, রাজাকারদের রাজত্ব ছিল। তবুও আমি ফিরে এসেছিলাম, আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য।

শেখা হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের সময় স্কুল বন্ধ ছিল। এখন সব স্কুল খুলে গেছে। কাজেই এখন স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ আবার এসেছে। তারা পড়াশোনা করবে, সেটাই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। 

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তাঁরা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং এ সময় বিউগেলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

এ সময় বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার গার্ড প্রদান করে।

আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনা ফাতেহা পাঠ করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করে মোনাজাতে যোগ দেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধুর নাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চের পর প্রথম বারের মতো সশরীরে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেন।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন