সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচাতে আজ মাঠে নামবে টাইগারবাহিনী
হারের বৃত্ত ভাঙার মিশন নিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আজ (২৪ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বেলা আড়াইটায় মাঠে নামবে সাকিব বাহিনী। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচে ভাল করার কোন বিকল্পই থাকছে না টাইগারদের সামনে।
বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর টানা তিন হার। বাংলাদেশের কপালে ভাঁজ ফেলার জন্য এটুকুই হয়ত যথেষ্ট ছিল। তবে সেই চিন্তা বেড়েছে তলানির দলগুলোর উত্থানে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিনটি অপ্রত্যাশিত ম্যাচ দেখা হয়ে গিয়েছে সকলের। আফগানিস্তানের জয় বাংলাদেশকে ঠেলে দিয়েছে খাদের কিনারে। পয়েন্ট টেবিলের যুদ্ধটাও তাই এখন জমজমাট।
বিশ্বকাপে ফর্ম বিবেচনার কঠিন এক প্রতিপক্ষই বটে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও এই ম্যাচের আগে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরছে টাইগার শিবিরে। অবশ্য এই ম্যাচ দিয়ে ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। তবে থাকছেন না কাঁধের চোটে থাকা তাসকিন আহমেদ।
ম্যাচের আগের দিন সোমবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য সাকিব আশার কথা শুনিয়েছেন বিশ্বকাপের সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি এখনো। বলছিলেন, ৫ ম্যাচ বাকি আছে। যদি এখানে জিততে পারি তাহলে ভালো মোমেন্টাম আসবে। যদিও আমরা খুব বেশি ম্যাচ জিতিনি। পয়েন্ট টেবিল দেখলে মনে হবে না আমরা খুব বেশি বাজে অবস্থায় আছি সত্যি কথা (হাসি)। অন্যান্য দল আমাদের সাহায্য করছে। এখন আমাদের দায়িত্ব আমাদের নিজেদের সাহায্য করা।
এছাড়া আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন সাকিব। তার জন্য দলের সবার কাছ থেকেই চান ভালো পারফর্মম্যান্স, কালকের ম্যাচে যদি সবাই মিলে ভালো বোলিং-ব্যাটিং করতে পারি তাহলে আমাদের জেতার সম্ভাবনা আছে। ওয়ানডেতে যদি আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারি তাহলে আমরা জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারি।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম বাংলাদেশকে দেখছেন বড় দল হিসেবে। মার্করাম বলেন, যখনই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা হয়, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য বড় ম্যাচ। অতীতে আমরা তাদের বিপক্ষে ভালো খেলিনি। এটা আমাদের বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যা করেছি তেমন কিছু করতে। ইন্টেনসিটি ও স্ট্যান্ডার্ডের দিকটাতেই আমাদের নজর থাকবে। আশা করি সেটাই জন্য যথেষ্ট হবে।
ম্যাচে সাকিবকে নিয়ে মাথা ব্যথা নেই মার্করামের, অবশ্যই সে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন ক্রিকেটার এবং বাংলাদেশের বড় ক্রিকেটার। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই সে যদি খেলে বা না খেলে সেই অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনা তৈরি আছে এবং আমরা আগামীকাল সেটাই বাস্তবায়ন করব। কিন্তু সে যদি খেলে বা না খেলে সেটা আমাদের খুব বেশি মাথা ব্যথা নেই।
শক্ত প্রতিপক্ষ হলেও বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়ের সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের। ২০০৭ বিশ্বকাপে সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬৭ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই দলেরই সদস্য ছিলেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। সবশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও প্রোটিয়াদের হারিয়েছিল টাইগাররা। আর সবশেষ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাতেই তাদের হারানোর সুখস্মৃতি তো আছেই।