আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

গণমাধ্যমই বিএনপির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখেছে : কাদের

পরিকল্পিতভাবে এ দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের অপরাজনীতির জন্ম দেয় বিএনপি। বর্তমান সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম নয় বরং গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। এ দেশের গণমাধ্যমের বিকাশ ও সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক সকল প্রয়াস আওয়ামী লীগই গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে বলেই জনবিচ্ছিন্ন বিএনপির রাজনীতি শুধুমাত্র মিডিয়াতে লিপ সার্ভিস দেয়ার মাধ্যমে টিকে আছে। বলা চলে, গণমাধ্যমই বিএনপির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখেছে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার (২০ মার্চ) গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।   

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র একমাত্র আওয়ামী লীগের হাতেই নিরাপদ। অন্যদিকে, বিএনপির জন্ম হয়েছে এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের পটভূমিতে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে পবিত্র সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতির পিতাসহ জাতীয় চার নেতার খুনিদের সুরক্ষা দিয়েছিল।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দেশের মানুষের স্বাধিকার, স্বাধীনতা, মুক্তি, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে।

কাদের বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র আর গণতন্ত্রের আড়ালে মুখোশধারী স্বৈরাচারদের হাত থেকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে পুনরুদ্ধার করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের যে কোন রাজনৈতিক দলের চেয়ে আওয়ামী লীগ আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চায় এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচন বিমুখ একটি দল কিভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে? গণতান্ত্রিক চর্চায় সর্বদাই বিএনপির এক ধরনের অনীহা রয়েছে। এমনকি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও মহান জাতীয় সংসদে যাওয়া নিয়ে বিএনপি দ্বিধাগ্রস্ত।

তিনি বলেন, একদিকে বিএনপি মহাসচিব নির্বাচিত হয়েও সংসদে অংশগ্রহণ করেনি, অন্যদিকে সংসদে তাদের দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এ ধরনের দ্বিধাগ্রস্ত এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষম রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশের কল্যাণ করার সক্ষমতা রাখে না; এটা প্রমাণিত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় এ দেশের মানুষের ভাগ্যের যত উন্নয়ন ঘটছে, বাংলাদেশ যত উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রসর হচ্ছে, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ততই হতশাগ্রস্ত হয়ে প্রতিনিয়ত প্রলাপ বকছে।

তিনি বলেন, আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশে উন্নয়নের নতুন নতুন মাত্রা আমাদের আর্থ-সামাজিক জীবনের যে পরিবর্তন সাধন করেছে এবং তার ভিত্তিতে নতুন প্রজন্মের যে মানসিকতা ও স্বপ্ন-আকাক্সক্ষা তৈরি হয়েছে তা ধারণ করার মতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সক্ষমতা বিএনপির নেই।   

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন