‘বঙ্গবন্ধু টানেল সরকারের সাহসী নেতৃত্বের অনন্যোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’
বাস্তবে রূপ নিয়েছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে সড়ক যোগাযোগের টানেল নির্মাণের স্বপ্ন। চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউনস’ গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়কে সংযুক্ত করেছে এই টানেল। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ বর্তমান সরকারের সাহসী নেতৃত্বের একটি অনন্যোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ এর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “বাংলাদেশে যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে নবতর সংযোজন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ এর শুভ উদ্বোধন হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষসহ এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, নগরায়ন-শিল্পায়নের মৌলিক ভিত্তি হচ্ছে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ফলে দেশের যোগাযোগ খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে দেশ ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল এখন যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত। বর্তমান সরকারের যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের অনন্য উদাহরণ মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান। বাঙালির সক্ষমতার স্মারক পদ্মা সেতুর বছরপূর্তি হয়েছে। নিজেদের টাকায় নির্মিত পদ্মা সেতু চালুর ফলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় রচিত হয়েছে যুগান্তকারী অধ্যায়। এছাড়া উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ, শিল্পকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নসহ সব খাতেই ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রামের মীরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে ব্লু -ইকোনমির নতুন দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। আমি আশা করি, আধুনিক ও সময়সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে দেশের ভেতরে ও বাইরে শিল্পায়ন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ প্রবাহ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চারিত হবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে। নির্মাণশিল্প ও স্থাপত্যের এই নতুন নিদর্শন বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিকে আরো উজ্জ্বল করবে।
তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ মাইলফলক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি জনকল্যাণে নিবেদিত সকল উন্নয়ন উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন কামনা করেন।